বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু , গ্রেফতার নববধূ ও শ্বশুর
জানুয়ারি মাসে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় প্রতিম ও ব্রততীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় ভয়াবহ পরিণতি অধ্যাপকের। কেশপুরের নাড়াজল রাজ কলেজের অধ্যাপক প্রতিম মাইতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বশুরমশাইকে গ্রেফতার করল পুলিস। অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যুর পরই পরিবারের তরফে কেশপুর থানায় খুনের দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নববধূ ব্রততী মাইতি ও শ্বশুরমশাই সুভাষ দে-কে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আজ ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়।
কেশপুরের আন্দিচক গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী অধ্যাপক প্রতিম মাইতি। নাড়াজল রাজ কলেজের এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। সোমবার বাড়িতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রতিম মাইতি। মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ছেলেকে খুন করা হয়েছে, এই দাবিতে এরপরই কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপকের মা পারুল মাইতি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসেই বিয়ে করেছিলেন প্রতিম মাইতি। স্ত্রী ব্রততী মাইতি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল দুজনের।
মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, প্রতিমের স্ত্রী ব্রততী অত্যন্ত আধুনিকা। বিয়ের পর শাড়ি না পরে সালোয়ার কামিজ পড়তে চাইতেন তিনি। গ্রাম্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল না একেবারেই। এই শহুরে চালচলন নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়। দাম্পত্য কলহ থেকেই স্বামী প্রতিমকে খুন করেছে স্ত্রী ব্রততী। যদিও নববধূ ব্রততীর পাল্টা অভিযোগ, প্রতিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। বরং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দুর্ব্যবহার করতেন।
সোমবার মাঝরাতে বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই অধ্যাপক। প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রতিম। অধ্যাপকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিস। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন, এক-দুটো নয়, এক্কেবারে ৮টা! দেশে নতুন শহর গড়বে মোদী সরকার
'মুখ্যমন্ত্রীর ডিউটিতে ব্যস্ত', উত্তর দিল না পুলিস, পচন ধরল রতন শীলের নিথর দেহে