WB Panchayat Election 2023: স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি কমিশনের, মোট কত বুথের মধ্যে কত স্পর্শকাতর?

কমিশনের হিসেবে স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা অনেক পিছনে।  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। মুর্শিদাবাদে ১০ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। 

Updated By: Jul 3, 2023, 02:53 PM IST
WB Panchayat Election 2023: স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি কমিশনের, মোট কত বুথের মধ্যে কত স্পর্শকাতর?

সুতপা সেন: সব জেলার স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি কমিশনের। মোট ৬১ হাজার বুথের মধ্যে ১০ হাজারের কম বুথ স্পর্শকাতর।  আদালতে তালিকা জমা দেবে কমিশন। কমিশনের হিসেবে স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা অনেক পিছনে।  দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। মুর্শিদাবাদে ১০ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। এছাড়াও ভিডিয়োগ্রাফি, সিসিটিভি নিয়েও বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে চলেছে কমিশন।

ওদিকে রবিবারের মধ্যে পুরো বাহিনী এসে যাবে বলে কমিশনকে জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৩১৫-র মধ্যে ২৩৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। ফলে নাকা চেকিং, এরিয়া ডমিনেশনের কাজে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানাল কমিশন। তবে কালকের মধ্যে বাকি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত স্থির মোট ১,১৩৭ কোম্পানি বাহিনীতে হবে পঞ্চায়েত ভোট! পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শনিবার ফের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, ডিজি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় যে ভোটে রাজ্য পুলিস থাকবে ৬৫ হাজার। কলকাতা পুলিস থাকবে ১৫ হাজার। অর্থাত্ মোট ৮০ হাজার বাহিনী দেবে রাজ্য।

এখন কলকাতা পুলিসে মোট বাহিনী আছে ২০ হাজার। এখন তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার বাহিনী দিতে পারবে কলকাতা পুলিস। এখন রাজ্য মোট ৮০ হাজার বাহিনী দিচ্ছে মানে, রাজ্যের তরফে পঞ্চায়েত ভোটে থাকছে ৮০০ কোম্পানি। ওদিকে কেন্দ্র বাহিনী পাঠাচ্ছে ৩৩৭ কোম্পানি। অর্থাত, মোট বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে (৮০০+৩৩৭)= ১,১৩৭ কোম্পানি।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করাতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। সুপ্রিম নির্দেশ। সেই নির্দেশের পরই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চায় কমিশন। তারপর বাহিনী এসে পৌঁছয় রাজ্যে। কিন্তু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি থাকবে না, সেই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। বরং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ঘিরে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। তুঙ্গে বিতর্ক। 

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিবা সিনহার বক্তব্য, এখন যে বাহিনী এসেছে, তা বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য। ভোটের দিনের জন্য নয়। ভোটের দিন কী করা হবে, বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নির্বাচনের ৩ থেকে ৪ দিন আগে সিদ্ধান্ত  নেওয়া হবে। বলাই বাহুল্য, কমিশনের এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তবে কি হাইকোর্টের নির্দেশকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখাতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? বিরোধীদের দাবিকে নস্যাত্ করতে চলেছে কমিশন?

আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: অভিষেকের সভাস্থলের কাছেই মিলল তরোয়াল, নেপথ্যে কে উঠছে প্রশ্ন

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.