বিজেপি জিততেই বদলে গেল বীরভূমের মল্লারপুরের পরিস্থিতি
সবুজে রেঙেছে বীরভূম। এই পরিস্থিতিতেও বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুর-১ এবং মহম্মদবাজারের গণপুর- এই ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। আর তা থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আশঙ্কা ছিলই, ভোটগণনা শেষ হতে না হতেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূম। চলল অবাধ ভাঙচুর, বোমাবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ পুলিসের।
আরও পড়ুন: নিজের খাস তালুকেই দুধকুমারকে ঠেকাতে পারলেন না অনুব্রত
বীরভূমে ৪২টি আসনের মধ্যে ৪১টি জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। সবুজে রেঙেছে বীরভূম। এই পরিস্থিতিতেও বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুর-১ এবং মহম্মদবাজারের গণপুর- এই ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। আর তা থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: কাউন্টিংহলে এসডিপিওকে দেখেই পা জড়িয়ে ধরল ‘সে’, মিলল স্নেহের পরশ
সূ্ত্রের খবর, গণনাকেন্দ্রের বাইরেই দুই দলের তরফে জমায়েত ছিল। ফল আঁচ করতে পেরেই দুই দলের সমর্থকরা আচমকা একে অপরের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এলাকার দোকানপাট, রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা সাইকেলে চলে অবাধ ভাঙচুর। একে অপরের দিকে বাঁশ, লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। জমায়েত সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। বীরভূমের মল্লারপুরের পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। এলাকায় পুলিসি টহল।
তবে বীরভূমের এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। ভোটগণনায় নিরাপত্তা রক্ষার্থে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। বুথের বাইরে রয়েছে সশস্ত্র পুলিস। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মাঝেও কীভাবে জমায়েত হল, কেন তা প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না পুলিস, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।