Dumdum: লোকসভা ভোটের আগেই ভোট দমদমে!
১০ এপ্রিল সেই মতামত সম্বলিত ব্যালট বাক্সগুলি নির্বাচন কমিটির সামনে খুলে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। সেই জনমতের উপর ভিত্তি করে কাউন্সিলর তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
সৌমেন ভট্টাচার্য: আগামী পয়লা জুন দমদমে লোকসভা ভোট। তার দুই মাস আগেই দমদম লোকসভার দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার ১৫নং ওয়ার্ডে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। এলাকার মানুষের মতামত গ্রহণ করতেই এমন চিন্তা ভাবনা নেওয়া হয়েছে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। ভোটে অংশ গ্রহণ করবে ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটার। ইতিমধ্যেই ব্যালট পেপার বিলি পর্ব চলছে বাড়ি বাড়ি। এরপরে আগামী ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যালট বাক্স তাদের মতামত প্রদান করতে পারবে এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, এই ভোটদান পর্বের পিছনে রয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। গত ১৯ মার্চ কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমদমের রবীন্দ্র ভবনে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন এলাকাবাসীর মতামত ছাড়া তিনি দলে যোগদান করতে পারবেন না। সেই মতামত গ্রহণ করতেই এই ভোটের মরশুমে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে ওয়ার্ডে। যারই অংশ হিসেবে ব্যালট পেপার বিলি পর্ব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। ব্যালট পেপারে কাউন্সিলরের কি করা উচিৎ এবং কেন তা যুক্তি সহকারে বর্ণনা করার জন্য ব্যালট পেপারে জায়গা রাখা হয়। যেখানে কাউন্সিলরের তৃণমূল, না বিজেপি না সিপিআইএম করা উচিৎ নাকি নির্দলে থেকে যাওয়া উচিৎ তা নির্ণয় করতে অনুরোধ করা হয়। এরপরে তা ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যালট বাক্সে সেই মন্তব্য সম্বলিত ব্যালট পেপার ফেলার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করে মাইকিং করা হচ্ছে।
আগামী ১০ এপ্রিল সেই মতামত সম্বলিত ব্যালট বাক্সগুলি নির্বাচন কমিটির সামনে খুলে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। সেই জনমতের উপর ভিত্তি করে কাউন্সিলর তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এককথায় লোকসভা ভোটের আগেই এলাকায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতরণ করতে চলেছে কাউন্সিলর। তার কথায়, ২০১৫ সাল থেকে তিনি যখন কাউন্সিলর তার কাজ দেখে এলাকার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে সাংসদ সৌগত রায় তাকে পুরপ্রধানের দাবিদার করে তোলেন সেকারণে এক শ্রেণীর কুচক্রী দলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কান ভাঙিয়ে তার টিকিট আটকে দেয়।
এরপরে ২০২২ সালে তিনি এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে নির্দলে দাঁড়ান এবং ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। দুই বছর বাদে তাকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোয় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু এলাকাবাসীর মতামত ছাড়া তিনি কিছু করতে পারবেন না। তাই এই ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)