ভোট-প্রতিশ্রুতির চেয়েও দ্বিগুণ অনুদান বাংলার কৃষকদের, অনুমোদন নবান্নের

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এক একরের বেশি জমি থাকা কৃষকদের বার্ষিক অনুদান ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ১০ হাজার টাকা। 

Updated By: Jun 10, 2021, 06:58 PM IST
ভোট-প্রতিশ্রুতির চেয়েও দ্বিগুণ অনুদান বাংলার কৃষকদের, অনুমোদন নবান্নের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি ছিল 'কৃষক বন্ধু প্রকল্পে' বার্ষিক অনুদান ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে করা হবে ৬ হাজার টাকা। রাজ্য বাজেটেও ওই অর্থের সংস্থান করা হয়েছিল। তবে প্রতিশ্রুতির চেয়েও কৃষকদের দ্বিগুণ অনুদান দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Govt)। বৃহস্পতিবার 'কৃষক বন্ধু প্রকল্পে' বর্ধিত ভাতা দেওয়ার অনুমোদন দিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা।

 

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এক একরের বেশি জমি থাকা কৃষকদের বার্ষিক অনুদান ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ১০ হাজার টাকা। যে সমস্ত কৃষকের জমি এক একরের কম তাঁদের ক্ষেত্রে ভাতা ২ হাজার থেকে বেড়ে হল ৪ হাজার টাকা। 'কৃষক বন্ধু প্রকল্পে' টাকা বাড়ানোর পাশাপাশি চাষিদের জন্য আরও একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের প্রচারে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান যোজনায় অনুমতি দেয়নি রাজ্য। সে কারণে বছরে ৬  হাজার টাকা পাচ্ছেন না বাংলার কৃষকরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে গিয়েছেন, পিএম কিষান সম্মান যোজনার চেয়ে অনেক ভালো রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্প। জিতে এসে ওই প্রকল্পে বরাদ্দ আরও বাড়ালেন। অন্যদিকে, ভোটের পর কিষান সম্মান নিধির টাকা পেয়েছেন বাংলার প্রায় ৭ লক্ষ কৃষক।        

 

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও ভরা কোটালের জেরে যে সব এলাকায় চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে জমি দ্রুত চাষের উপযোগী করে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে কৃষি দফতর। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্য়য় করা হয়েছে এই অর্থ। উপকূলবর্তী এই তিন জেলায় নোনা সুবর্ণ, নোনাশ্রী, ধীরেন, কলমা-সহ মোট ৬ ধরনের ধান চাষে উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি দফতর। গত বছরে আমফান ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে বিকল্প ধান চাষের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 
     
করোনা আবহে গত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম নবান্নের ১৩ তলার কনফারেন্স রুমে বসল মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-সহ ১৫ জন সদস্য। ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এ দিনই মুখ্যসচিব হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকলেন হরিষকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পাশাপাশি বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ৬টি সংস্থাকে জমি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রাজ্যে ৬০০-র বেশি পদে লোক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ তারিখ ভরা কোটালের কথা মাথায় রেখে জেলার মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- অতটা খারাপ নন বলেই কি স্বাগত? তৃণমূলে Mukul-প্রত্যাবর্তন জল্পনা বাড়ালেন Sougata

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.