West Bengal Assembly Election 2021: নন্দীগ্রামে ভোট-পরবর্তী হিংসা, একাধিক বাড়িতে 'ভাঙচুর', গ্রেফতার ১৪
বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পনামাফিক গুজব ছড়ানোর অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের পর ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। বোয়াল, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ। তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থক মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে আরও ৩০ কেন্দ্রের সঙ্গে ভোট মিটেছে নন্দীগ্রামে। সেদিন দিনভর টানটান উত্তেজনা ছিল এলাকায়। দুপুরে তৃণমূল এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে সটান বয়াল অঞ্চলের ৭ নম্বর বুথে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী সেখানে পৌঁছানোর পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এরপর ওই বুথে বসেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পোলিং অফিসারদের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটে মদতে দেওয়ার অভিযোগে চিঠি দেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে। স্রেফ অভিযোগ খারিজ করাই নয়, যেদিন তৃণমূলনেত্রীর চিঠির প্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিল কমিশন, সেদিনই নন্দীগ্রাম থেকে অশান্তির খবর এল।
কোথাও স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণের, তো কোথাও আবার বোমা লুকিয়ে রাখার, ভোট মিটতে ইচ্ছাকৃতভাবে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার পার্থ দে বলেন, এলাকায় পরিকল্পামাফিক গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে বেশ কয়েকজন। যাঁরা গুজব ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বোয়াল, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে কারা ভাঙচুর চালাল? একে-অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের দাবি, তাদের দলের সমর্থকদের ১৫টি বাড়়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল। চলেছে লুটপাট, মারধর করা হয়েছে দলের কর্মীদেরও। একই অভিযোগে আবার পুলিশের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে তৃণমূলও। দোষীদের গ্রেফতার না করলে নন্দীগ্রাম স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।