পূবালি হাওয়ায় ছিনতাই জলীয় বাষ্প, দক্ষিণবঙ্গে অনাবৃষ্টির আশঙ্কা
আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমান বাড়লেও আবহাওয়ার বিশেষ কোনও বদল হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়েছে, ওডিশা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরা আষাঢ়ে শরতের মেঘ। মাঝে মাঝে বৃষ্টি। আর সূর্য উঠলেই অসহ্য গরম। শুকাচ্ছে না কাদা। ফলে প্যাচপ্যাচে পথ-ঘাটে নাজেহাল দশা দক্ষিণবঙ্গবাসী। বিশেষ করে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে কবে ফের ফুল ফর্মে ফিরবে বর্ষা? জবাব দিতে পারছেন না আবহবিদরাও। অনুমান জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ফের ঝেঁপে নামতে পারে বৃষ্টি।
পূবালি হাওয়ায় বিবাগী হয়েছেন বর্ষারানি। তার জেরেই অনাবৃষ্টির মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আবহাওয়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ বঙ্গের ওপর দিয়ে বইছে পূবালি হাওয়া। এই হাওয়াই ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে মেঘ সৃষ্টির জন্য দরকারি জলীয় বাস্প। ফলে শরত্ কালের মতো বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের ফলে।
আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমান বাড়লেও আবহাওয়ার বিশেষ কোনও বদল হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়েছে, ওডিশা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে ওডিশা উপকূলে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হবে ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ডেও। নিম্নচাপের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্ত। তাছাড়া টানা বর্ষণের কোনও সম্ভাবনা নেই।
হাটে পরিচিত যুবকের সঙ্গে গল্প, গৃহবধূর উপর মধ্যযুগীয় নির্যাতন মোড়লদের, ভিডিও ভাইরাল
ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে অনাবৃষ্টিতে পিছিয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে চাষের মরসুম। ৭ জুন থেকে এপর্যন্ত কলকাতায় ২৮ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ শতাংশ, হাওড়ায় ৫২ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫৬ শতাংশ ও বাঁকুড়ায় ৬০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা বলছে, আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপের জেরে বর্ষা ফিরতে পারে বঙ্গে। তবে কতদিনে আর ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না আবহবিদরা।