তিস্তা ও জলঢাকায় কমল জলস্তর, সকালে জারি করেও পরে তুলে নেওয়া হল হলুদ সংকেত
স্বস্তি ফিরল নদী-সন্নিহিত জনজীবনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলস্ফীতির জেরে জারি হয়েছিল হলুদ সংকেত। তবে ক্রমশ জলস্তর নামতে থাকায় বিকেলের পর তুলে নেওয়া হল হলুদ সংকেত। ঘটনার কেন্দ্রে তিস্তা ও জলঢাকা নদী।
সিকিম (Sikkim) ও ভুটানে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে দেখা দিয়েছিল জলস্ফীতি। সেচ দফতরের তরফে জারি করা হয়েছিল হলুদ সংকেত। যা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ভুগছিলেন। কিন্তু পরে জলস্তর কমতে থাকায় জারি থাকল না হলুদ সংকেত। সেই সুখবর জানিয়েও দেওয়া হল সংশ্লিষ্ট দফতরের সূত্রে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে মালবাজারের মূর্তি নদী
বুধবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১৪২৯.৪৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীতে জলস্ফীতি হয়েছে। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় (দোমহনি থেকে বাংলাদেশ) জারি করা হয়েছিল এই হলুদ সংকেত। একই সঙ্গে ভুটানে (Bhutan) বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জলঢাকা নদীতেও জলস্ফীতি হয়েছে। সেখানেও হলুদ সংকেত রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল সেচ দপ্তরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে।
একটানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের করলা নদীর জলও বেড়েছে। বৃষ্টিতে সাধারণ জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়েছে। একটানা মুষলধারে বৃষ্টির কারণে জলপাইগুড়ি শহরে ভারী গাছ উপড়ে পড়ে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।
বুধবার এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ:
১) জলপাইগুড়ি-- ৩৭.৮০ মিলিমিটার
২) আলিপুরদুয়ার-- ১১০.২০ মি.মি.
৩) কোচবিহার-- ১১২.৬০ মি.মি.
৪) শিলিগুড়ি-- ১০২.৪০ মি.মি.
৫) মাল-- ২২০.৪২ মি.মি.
৬) হাসিমারা-- ২০৫.০০ মি.মি.
৭) বানারহাট-- ৩৪২.২৫ মি.মি.
৮) মাথাভাঙা-- ১৪৫.০০ মি.মি.
৯) তুফানগঞ্জ-- ১০৮.৪০ মি.মি.
১০) ময়নাগুড়ি-- ৬৯.০০ মি.মি.
(সূত্র 'ফ্লাড কন্ট্রোল রুম')
কিন্তু দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাত কমায় তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে কমেছে জলস্তরও। জানা গিয়েছে, জল বিপদসীমার নীচ দিয়েই বইছে। আর দুপুরে পর থেকে ক্রমাগত জলস্তর কমতে থাকায় অবশেষে সেচ দফতরের (Irrigation Dept) তরফে তুলে নেওয়া হল হলুদ সংকেতও। কমল আতঙ্ক। স্বস্তি ফিরল নদী-সন্নিহিত জনজীবনে।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: জলের তোড়ে ভাঙল নদীর উপরের সেতু, বিচ্ছিন্ন কয়েকশো মানুষ