খাবার তো দূর, নেই গলা ভেজানোর জলও! শ্রমিক ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ছেন যাত্রীরা

তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনে পর্যাপ্ত খাবার নেই, জল নেই। তৃষ্ণায় গলা শুকোচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

Updated By: May 14, 2020, 12:24 PM IST
খাবার তো দূর, নেই গলা ভেজানোর জলও! শ্রমিক ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ছেন যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন, কিন্তু তাতে নেই জল, পর্যাপ্ত খাবার। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা। দুর্গাপুর, আসানসোল স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
গত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে পরিযায়ী শ্রমিক ও চিকিত্সা করাতে গিয়ে আটকে পড়া রাজ্যবাসীকে নিয়ে রওনা দেয় শ্রমিক ট্রেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা ট্রেনটি দুর্গাপুর স্টেশনে পৌঁছয়। ইঞ্জিন পাল্টানোর জন্য ট্রেনটি স্টেশনে থামতেই প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন যাত্রীরা। রেলকর্মী ও আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনে পর্যাপ্ত খাবার নেই, জল নেই। তৃষ্ণায় গলা শুকোচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

স্রেফ ট্রেনের টিকিটেই গেছে ৯৬০ টাকা! নিঃখরচায় কোথায় বাড়ি ফেরাল সরকার? প্রশ্ন বেঙ্গালুরু ফেরত শ্রমিকদের
যাত্রীদের কারোর বাড়ি হাওড়া, কারোর ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, হাওড়ায়। অনেকেই ঠিক মতো জল না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দুর্গাপুর স্টেশনে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
একই দৃশ্য ধরা পড়ে আসানসোল স্টেশনেও। সেখানেও একই কারণে যাত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রেল ও জেলা প্রশাসনকে। তাঁদের অভিযোগ, পুরুলিয়ায় নামতে চাইলেও তাঁদের নামতে দেওয়া হয়নি। আসানসোল রেল ডিভিশনের সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র, তাঁদের সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।
২৪ জন যাত্রীকে ওই ট্রেন থেকে নামিয়ে অন্যভাবে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের জন্য আসানসোল স্টেশনে জল ও কিছু খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।

.