'বাড়ির কাছাকাছি পোস্টিং চাই', জেলায় জেলায় বিক্ষোভে পুলিস পরিবারের সদস্যরা
মহামারির গেরোয় ছুটি নেই। টানা দু-মাস পরিবারের সদস্যের মুখও দেখেননি তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় দু-চোখের পাতা এক করতে পারছেন না পুলিস কর্মীদের স্ত্রী-মায়েরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা ওঁরাও। চিকিত্সকদেরও মতো অতন্দ্র পাহারায় মানুষকে নিরাপত্তা বিধি-সামাজিক দূরত্বের পাঠ দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আর তাঁদের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে পরিবারের। কারও স্বামী- কারও ছেলে ২০০-২৫০ কিমি দূরে পোস্টিং। এমনই পুলিস পরিবারের সদস্যরা ফেটে পড়লেন বিক্ষোভে।
মহামারির গেরোয় ছুটি নেই। টানা দু-মাস পরিবারের সদস্যের মুখও দেখেননি তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় দু-চোখের পাতা এক করতে পারছেন না পুলিস কর্মীদের স্ত্রী-মায়েরা। সোমবার আলিপুরদুয়ার পুলিস সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। ৪০ কিমির মধ্যে পোস্টিংয়ের দাবিতে পথে নামেন পুলিস কর্মীদের পরিবার।
আরও পড়ুন: রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৮ জন, কমেছে মৃত্যুর হার
উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের আর্জি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন SDPO। একই দাবিতে সরব জলপাইগুড়ির পুলিসকর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য পুলিসের টেন ব্যাটালিয়নসহ অন্যান্য ব্যাটালিয়ন থেকে হাজারের বেশি পুলিস কর্মীকে ২০০ কিমি বা তার বেশি দূরে বদলি করা হয়েছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে বিষয়টি বিবেচনার জন্য এসপি অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন পরিবারগুলি।
পরিজনের দূর জেলায় পোস্টিং। ঘোর সমস্যায় তাঁরা। প্রতিবাদে মৌন মিছিল করে বিক্ষোভ দেখালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিস কর্মীদের পরিজনরা। জেলাশাসকের অফিসের সামনে পোস্টার হাতে মৌন মিছিলে সামিল পুলিস কর্মীদের স্ত্রী ও পরিবার। আন্দোলন, ডেপুটেশন জমা দিলেও, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখেই তা করেছেন পুলিস কর্মী পরিবারের সদস্যরা