Jhargram: জল বাড়ছে, আতঙ্ক চোখে-মুখে! ভেসে যাবে এলাকা?
Jhargram: এবছরও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের গড়ধোরা এলাকার সুবর্ণরেখা নদীতীরবর্তী গ্রামগুলিতে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতি বর্ষায় নদী-ভাঙনই ভবিতব্য বাংলার কিছু কিছু জনপদের। একই অবস্থা ঝাড়গ্রামেও। প্রতিবছরই বর্ষায় এখানে সুবর্ণরেখা নদীতে জলস্তর বাড়ে, সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙন শুরু হয়ে যায়। তবে সেই ভাঙনের গ্রাসে সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় ঝাড়গ্রামের সুবর্ণরেখা নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষজনদেরই।
আরও পড়ুন: Malbazar: রাতের অন্ধকারে হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ বাড়ি...
এবছরও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের গড়ধোরা এলাকার সুবর্ণরেখা নদীতীরবর্তী গ্রামগুলিতে।
নদী গিলে খাচ্ছে ঘরবাড়ি থেকে চাষের জমি। কার্যত নিরাশ্রয় বহু মানুষ। প্রতি বছরের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে ওই সমস্ত এলাকার মানুষের মধ্যে। ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ২০০৭ সালে এলাকার সব থেকে বড় বন্যায় পাঁচটি বাড়ি ও প্রায় তিন একর জমি নদীর গর্ভে চলে গিয়েছিল। নদীর পাড়ে এখনও কিছু বাড়ি রয়েছে যেগুলি বেশি বৃষ্টি হয়ে নদীতে জল বাড়লেই নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে তাঁরা আতঙ্কেই রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনও রকম সুরাহা এখনও হয়নি। গত কয়েকদিনের এই বৃষ্টিতে যদি সুবর্ণরেখা নদীতে জল বাড়ে তাহলে নদীর পাড় ভেঙে বন্যাকবলিত হয়ে পড়তে হবে এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁরা তাই দ্রুত কংক্রিটের পাড় বাঁধার দাবি জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Malbazar: মালবাজারের চা-বাগান থেকে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার...
এ বিষয়ে সাঁকরাইল ব্লকের বিডিও রোহন ঘোষ বলেন, আমি শুনেছি ঘটনাটা, ব্যাপারটা আমাদের নজরেও আছে। আমরা অঞ্চলের সঙ্গে কথা বলে মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার যথাযথ ব্যবস্থা আমরা করছি।