সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন, ৪ দিন পর আটক পালিত মা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফাঁকা বাড়িতে দিনে দুপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণ। তারপর খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের কালনার সেই ঘটনায় ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্তরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন সকাল ৬টা থেকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ নামেন মৃতার সহপাঠী থেকে গ্রামবাসীরা। শেষমেশ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা অবরোধের পর মৃতার পালিত মাকে আটক করে পুলিস। আর তারপর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। মূল অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

আরও পড়ুন, 'তৃণমূলকে ধ্বংস করতে এসেছেন উদয়ন গুহ'!

ঘটনা গত মঙ্গলবারের। বাড়ির সবাই কাজে বেরিয়েছিল। বাড়িতে কেউ ছিল না। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে দিনে দুপুরে কালনার মন্তেশ্বরের জামনা গ্রামের বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তারপর খুন করে ঝুলিয়ে দেয়। জানলা দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন, অনুব্রতর 'পাচন বাড়ি'র জবাব 'ডাঙেই দেবে' বিজেপি কর্মীরা!

সেই ঘটনার পর ৪ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্তরা। গ্রেফতার হয়নি দোষীরা। গোটা ঘটনায় ফুঁসছে  মন্তেশ্বর। এরপরই এদিন সকাল ৬টা থেকে পথ অবরোধে নামে এলাকাবাসী। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বর্ধমান রোড অবরোধ করেন মৃতার সহপাঠী ও স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন, বৌদির সঙ্গে দেওরের সম্পর্ক, ফাঁস হতেই মর্মান্তিক পরিণতি

অবরোধ তুলতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিসও। রণে ভঙ্গ দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিস। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পরে আবার বাহিনী নিয়ে ফিরে আসে। তারপর দীর্ঘ অবরোধের পর গ্রামবাসীদের চাপের মুখে পড়ে মৃতার পালিতা মাকে আটক করে পুলিস। খুব দ্রুত মূল অভিযুক্তকে আটক করা হবে বলে আশ্বাস দেয় পুলিস। আর তারপরই অবরোধ তুলে নেন মৃতার আত্মীয় ও স্থানীয়রা।