বেআইনি জবরদখল, বাড়ির মহিলাদের ওপর নির্যাতন ভাড়াটিয়াদের

পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, জবরদখলকারিরা মালিকপক্ষকে না জানিয়ে একতলার পাম্প ঘরের পাশে একটি দেওয়াল তুলে দেয়।

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Sep 30, 2020, 02:07 PM IST
বেআইনি জবরদখল, বাড়ির মহিলাদের ওপর নির্যাতন ভাড়াটিয়াদের
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভবানীপুরে ভাড়াটিয়াদের জবরদখলের ঘটনায় চাঞ্চল্য। মালিকের অনুমতি ছাড়া পাঁচিল তুলতে বাধা দিলে শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। প্রথমে দুই তারপর পাঁচ এখন সাত জনের বসবাস সেখানে। পাশাপাশি রয়েছে বহিরাগতদের বেআইনি প্রবেশ। জানা যাচ্ছে, বাড়ির মালিক বহুবার আপত্তি জানালেও শাসক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায়, সেই আপত্তি উড়িয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির একতলায় সেই ভাড়াটিয়েদের অনাধিকার রাজত্ব মেনে নিতে পারছেন না মালিকপক্ষ। আর তার জেরেই অশান্তি।

আরও পড়ুন: 'তাড়াতাড়ি এসো'! মাকে পুড়িয়ে মারছে ঠাকুমা, ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে মামাদের ফোন করল খুদে

পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, জবরদখলকারিরা মালিকপক্ষকে না জানিয়ে একতলার পাম্প ঘরের পাশে একটি দেওয়াল তুলে দেয়। সেখানে আরও একটি ঘর তৈরির পরিকল্পনা করে তাঁরা। সে খবর বিন্দুমাত্র জানানো হয় না বাড়ির মালিককে। এদিন, পাঁচিল তৈরির কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করেন বাড়ির মালিক, তাঁর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং মেয়ে। এরপর দলবদ্ধ হয়ে তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জবরদখলকারীরা। তাঁরা ফোন করে ডেকে নেয় মহিলা পুরুষ-সহ আরও প্রায় ১০ থেকে ১২ জনকে। শুরু হয় হাতাহাতি। মেয়ের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়, এমনকি ধাক্কা দিয়ে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, সেই অবস্থায় মা ও মেয়ে প্রথমে কালীঘাট থানায় যান। ভাড়াটিয়েদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। মেয়েটির প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। বাড়ির মালিকের স্ত্রী বলেন,"   প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, থানা থেকে একবারও রুটিন ভিজিটও হয়নি ঘটনাস্থলে। বাধ্য হয়ে কলকাতা পুলিসের নগরপাল, রাজ্য মহিলা কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ৭১ নম্বর ওয়ার্ড এর প্রাক্তন কাউন্সিলর পাপিয়া এবং স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বাবলু সিং এর কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।"

অন্যদিকে, এ ঘটনা অস্বীকার করেননি তৃণমূল কংগ্রেসের বাবলু সিং-ও। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়নি। যদি পরিবার কোনও সাহায্য চায়, তা করা হবে। তবে অভিযুক্ত পরিবার ঘটনার পর থেকেই ঘরে তালা দিয়ে বেপাত্তা। এখনও তাঁদের খোঁজ মেলেনি।

.