উলুবেড়িয়া উপনির্বাচন: আশাবাদী শাসকদল, অভিযোগ বিরোধী কণ্ঠে
ভোটের বেশকিছুদিন আগে থেকেই সর্বশক্তি দিয়ে এখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল বিজেপি। একদা বামেদের লালদূর্গ ফিরে পাওয়ার মরিয়া প্রয়াস ছিল সিপিএমের তরফেও। রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্ব বজার রাখার লড়াই ছিল কংগ্রেসের অন্দরমহলেও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে যতটা গর্জন শোনা গেছিল, ভোটের দিন কিন্তু ছিটেফোঁটাও বৃষ্টি হল না। উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনে বিরোধীদের বেশকিছু অভিযোগ শোনা গেলেও, বড় কোনও সন্ত্রাসের ছবি ধরা পড়েনি ক্যামেরার লেন্সে। ভোটের পর আশাবাদী শাসকদলের দাবি, গতবারের থেকেও এবার মার্জিন বাড়বে।
তৃণমূলের সুলতান আহমেদের মৃত্যুর কারণে উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে ফের নির্বাচন। ভোটের বেশকিছুদিন আগে থেকেই সর্বশক্তি দিয়ে এখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল বিজেপি। একদা বামেদের লালদূর্গ ফিরে পাওয়ার মরিয়া প্রয়াস ছিল সিপিএমের তরফেও। রাজ্য রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্ব বজার রাখার লড়াই ছিল কংগ্রেসের অন্দরমহলেও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ভোট ঘিরে ক্রমশই বাড়ছিল উত্তেজনার পারদ। আধা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও জানান দিয়েছে বারবার। ভোটের দিন কিন্তু দেখা গেল অনেকটাই ভিন্ন ছবি। গঙ্গারামপুরে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবার। সকাল থেকে ফাঁকা বুথের ছবি দুপুরের পর থেকে অবশ্য বদলে গেছে। ভোটারদের হাসিমুখে ভোট দিয়ে বেরোতে দেখা গেছে। তবে ভোটের ময়দানে শাসকদলের উপস্থিতি ছিল কিন্তু চোখে পড়ার মতো। ভোট মেশিনারির নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের হাতেই।