মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ক্রাইম ইজ ক্রাইম; টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে গ্রেফতার হল মূল দুই অভিযুক্ত
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিস নিগৃহের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টিকিয়াপাড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক
নিজস্ব প্রতিবেদন: টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় বরদাস্ত নয়, বুধবার জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হল ওই কাণ্ডের মূল দুই অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিস নিগৃহের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টিকিয়াপাড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিসকে বলা হয়েছে তত্ক্ষণাত্ ব্যবস্থা নিতে। কোনও কাজ সম্প্রদায় হিসাবে দেখা হয় না। যে-ই অন্যায় করুক, অন্যায় হিসাবে দেখা হয়। ক্রাইম ইজ ক্রাইম। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা হয়। গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিলীপ ঘোষ- উইকির দাবি শুনে কী বললেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি?
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলিরিয়াস রোডে বাজারে ফল কেনা নিয়ে জমায়েত শুরু হয়। ইতিমধ্যে হাওড়াকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। জমায়েত হটানোর চেষ্টা করে পুলিস। এরপরই পুলিসের উপর জনতা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের দুটো গাড়ি।
বেগতিক দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে র্যাফ। এরপর হাওড়া এবং ব্যাঁটরা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিস নিগৃহের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “টিকিয়াপাড়ার ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত। এটা একটা চক্রান্ত।”
ঘটনার দিন রাত ১১ টা নাগাদ নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন আপাতত পুর কমিশনার পদের দায়িত্বও সামলাবেন। আর বিজিন কৃষ্ণাকে পাঠানো হয়েছে প্রাণী সম্পদ দফতরের যুগ্ম সচিবের দায়িত্বে।