দু'টি স্কিম, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দু'টি চিঠি; লিখলেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দু'টি প্রকল্প চালু করা যাচ্ছে না, এই মর্মে কিছু নেতিবাচক কথাবার্তা বহুদিন ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে। বিষয়টি নিয়ে এ রাজ্যের শাসকদলের ঘাড়ে নীরব রাজনীতির অপবাদও ইতিউতি চাপছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কানেও তা নিশ্চিত ভাবে গিয়ে থাকবে। তাই তিনি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উক্ত দু'টি প্রকল্প বিষয়ে আলাদা করে দু'টি চিঠি লিখে তাঁর সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দু'টি প্রকল্প চালু করা যাচ্ছে না, এই মর্মে কিছু নেতিবাচক কথাবার্তা বহুদিন ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে। বিষয়টি নিয়ে এ রাজ্যের শাসকদলের ঘাড়ে নীরব রাজনীতির অপবাদও ইতিউতি চাপছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কানেও তা নিশ্চিত ভাবে গিয়ে থাকবে। তাই তিনি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উক্ত দু'টি প্রকল্প বিষয়ে আলাদা করে দু'টি চিঠি লিখে তাঁর সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে দু'টি চিঠির বক্তব্যই মোটামুটি এক। মুখ্যমন্ত্রী শুরুতেই লেখেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এটা শোনা যাচ্ছে, 'পিএম কিসান সম্মান নিধি' এবং 'আয়ুষ্মান ভারত' বাংলায় চালু করা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, দুক্ষেত্রেই রাজ্যের নির্দিষ্ট স্কিম রয়েছে এবং সেই স্কিমের জন্য রাজ্যের প্রচুর টাকাও খরচ হয়।
পিএম কিসান প্রকল্প সংক্রান্ত চিঠিটিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পিএম কিসান সম্মান নিধি-র টাকা যদি রাজ্যের হাতেই দেওয়া হয় তা হলে রাজ্যই সরাসরি তা কৃষকদের দিয়ে দেবে। এই স্কিম আসার আগেই কৃষকদের জন্য বহু স্কিম রাজ্য ইতিমধ্যেই চালিয়ে এসেছে এবং সেজন্য রাজ্যের প্রচুর অর্থও খরচ হয়ে যায় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূত্রে যে চিঠিটি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও তিনি একই ভাবে জানান, এটা শোনা গিয়েছে যে, আমাদের রাজ্য আয়ুষ্মান ভারত চালু করছে না। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হল, এ রাজ্য এই স্কিম আসার আগেই রাজ্যবাসীকে ১০০ শতাংশ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেয় এবং সরকারের তরফে 'স্বাস্থ্যসাথী স্কিম'ও করে দেওয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্র যদি আয়ুষ্মান ভারতের টাকা রাজ্যকে দেয়, তবে সে টাকা রাজ্য সাধারণ মানুষকে দিয়ে দেবে।
এ বার দেখার, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে কী পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার।