Bankura River Tunnel: নদীর পাড় ধসে যেতেই বেরিয়ে পড়ল রহস্যময় সুড়ঙ্গের মুখ
দিনকয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন পাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় বেরিয়ে পড়েছে একটি ইটে বাঁধানো সুড়ঙ্গের মুখ
মৃত্যুঞ্জয় দাস: উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট। চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট। গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ভেঙে বেরিয়ে পড়া এক সুড়ঙ্গেকে ঘিরে তোলপাড় এলাকা। ব্রিটিশ আমলে নাকি ডাকাতরা তৈরি করেছিল ওই সুড়ঙ্গ? এনিয়ে উত্সাহ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্য়ে। মানুষের ভিড় সামাল দিতে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।
বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকা থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে রাজাবাগান এলাকা। ওই এলাকায় গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ভাঙতেই বেরিয়ে পড়েছে ইট দিয়ে তৈরি ওই সুড়ঙ্গের মুখ। খবর পেয়েই এলাকায় ভিড় করেছেন এলাকার মানুষজন। ইট ও চুন সুরকিতে বাঁধানো ওই সুড়ঙ্গ আসলে কী জন্য তৈরি করা হয়েছিল তা এখন স্পষ্ট নয়।
একসময় ওই এলাকায় তেমন জনবসতি ছিল না। ঘন জঙ্গলে ঢাকা ওই এলাকায় ছিল ডাকাতদের নিত্য আনাগোনা। বর্তমানে ওই এলাকার কিছুটা দূরে লোক বসবাস শুরু হলেও গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে যাতায়াত করেন খুব কম মানুষ।
দিনকয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন পাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় বেরিয়ে পড়েছে একটি ইটে বাঁধানো সুড়ঙ্গের মুখ। স্থানীয় যুবকরাই নিজেরাই ওই সুড়ঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন। স্থানীয়দের দাবি সুড়ঙ্গর ভেতরে প্রায় কুড়ি ফুট খোঁড়া হলেও তা শেষ পাওয়া যায়নি।
সুড়ঙ্গটি চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট ও উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট। সুড়ঙ্গের চারদিক পোড়া মাটির ইট ও চুন সুরকি দিয়ে বাঁধানো। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় পুলিস মোতায়েন করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস। স্থানীয়দের দাবি রহস্যময় এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের রহস্যভেদ করার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে আরো খননকার্য করা হোক।
আরও পড়ুন- কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবহাওয়া বদল! রবিবারেও ঝড়-বৃষ্টি জেলায় জেলায়?