নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম পা রাখতে চলেছেন তিনি। সেখানে একটি বড় অংশ মতুয়ারা রয়েছেন। নয়া নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকেই এই মতুয়া সম্প্রদায় নিয়ে দড়ি টানাটানি আরও প্রকট হয়েছে। তাদের সহজেই নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই সিএএ সমর্থনে প্রচার করতে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় ঘনঘন ছুটছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রথম জনসভা করছেন। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবারের জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রায় এক লক্ষ ভোটে হেরে যায় তৃণমূল। মতুয়া ভোট টানতে ব্যর্থ হয়। লোকসভা নিরিখে ২২টি ওয়ার্ডে ২১টি পিছিয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘পিকের স্ট্র্যাডেজিকে’ হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা নিরিখে সমীক্ষা চালিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেখানে বলা হয়েছে তফসিলি এবং জনজাতি মন ফেরাতে পারলেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসন নিশ্চিত।
আরও পড়ুন- শাহিনবাগের আন্দোলনকে দিল্লি ভোটে ব্যবহার করছেন কেজরি: আদিত্যনাথ
বনগাঁ-রাণাঘাট একাধিক লোকসভায় মতুয়া ভোট একটা ফ্যাক্টর। যেখানে বিজেপি থাবা বসাতে সক্ষম হয়েছে। সাপে বর হওয়ার মতো সিএএ-কেও কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সোমবার একদফা প্রচার করে গিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সামনেই বনগাঁ পুরসভা ভোট। সে দিক থেকে মমতার এই সভা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব বলে মনে করা হচ্ছে।
সামনেই পুরভোট, মতুয়ার ‘মন’ পেতে আজ পুরোদমে বনগাঁয় মমতা