'মারধর, শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত', ইউনিয়ন রুমে 'শ্লীলতাহানি', অভিযুক্ত টিএমসিপি-র জিএস
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত জিএস সাহিদ হাসান। সাহিদের পাল্টা দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর যথেষ্টই 'ভালো সম্পর্ক'।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলেজের ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জিএস-এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রিষড়া বিধান কলেজের। অভিযোগ, মারধরের সঙ্গে ওই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশেও হাত দেন অভিযুক্ত জিএস সাহিদ হাসান খান। গোটা ঘটনাটিই ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। তবে এতকিছুর পরেও পুলিস হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা ছাত্রীও তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই সদস্যা। তাঁর অভিযোগ, ৪ জানুয়ারি কলেজের ইউনিয়ন রুমের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন জিএস সাহিদ হাসান খান। আক্রান্ত ছাত্রীকে চড় মারেন সাহিদ। এরপর টেবিলের কাঁচ তুলে মারার চেষ্টা করেন। এমনকি তাঁকে লাথিও মারেন। তারপর তাঁর হাত ধরে টেনে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ইউনিয়ন রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনার পুরোটাই ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এভাবে একদিন নয়, বার বারই তাঁর সঙ্গে দুর্বব্যহার করেছেন সাহিদ। এমনকি সাহিদ বোতল ভেঙে পেটে ঢুকিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাহিদ হাসান। সাহিদের পাল্টা দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট 'ভালো সম্পর্ক'। তবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ।
বুধবার এই ঘটনায় এসিপি শ্রীরামপুরের কাছে অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। কিন্তু তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছাত্রীর। তাঁর আরও অভিযোগ, জিএস সাহিদের বাবা জাহির খান, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ায় এলাকায় প্রভাবশালী লোক বলেই পরিচিত। সে কারণেই হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন, ভরসার হাত, আমরিতে মৃত শিশুর বাবা-মাকে সুবিচারের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে এই ঘটনায় টিএমসিপি সভানেত্রী জয়া দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনওভাবেই অন্যায়কে প্রশয় দেওয়া হবে না। শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। দোষ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত জিএসকে অবিলম্বে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে টিএমসিপি কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে খারিজ করা হয়েছে তাঁর সদস্যপদও।