বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় গ্রামে ঢুকে দাদাগিরি, তৃণমূল নেতাকে পাল্টা গণধোলাই সন্দেশখালিতে
শনিবার দুপুরে জনা কুড়ির একটি দল খুলনা পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ির কলনিপাড়ায় গ্রামে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাদাগিরি করতে গিয়ে হাতনাতে ফল পেলেন তৃণমূল নেতা। গ্রামবাসীদের হাতে মার খেয়ে সোজা হাসপাতালে। সন্দেশখালির খুলনা পঞ্চায়েতের শীতলিয়া গোলাবাড়ি গ্রামের ঘটনা।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলের দায়িত্বে শুভেন্দু, দায়িত্ব কমল অভিষেকের, সভাপতি পদে ব্যাপক বদল
কী হয়েছিল আসলে? তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ঘাসফুলের সঙ্গে প্রচারে থেকে গ্রামের কিছু লোকজন ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। এর বিহিত করতে শনিবার গোলবাড়িতে ঢোকে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বাইকবাহিনী। অভিযোগ, এরা গ্রামে ঢুকে কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে, কয়েকজনকে মারধরও করে। এরপরই রুখে দাঁড়ান গ্রামের মহিলারা।
গ্রামের মানুষজন রুখে দাঁড়ালে তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। এতে আরও রেগে যান গ্রামবাসীরা। তারা ওই তৃণমূল নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ধরে বেধড়ক পেটায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাদের গাড়িতে।
আরও পড়ুন-সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন মোদী
পুলিস জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের মারধরে স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান সত্যজ্যোতি সান্যাল ও তার দাদা দেবজ্যোতি সহ কয়েকজন গুরুতর আহত। তাদের বসিহাট সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে জনা কুড়ির একটি দল খুলনা পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ির কলনিপাড়ায় যায়। গ্রামে ঢুকে তারা কল্পনা বিশ্বাস, বিশ্বিজিত্ বিশ্বাস ও তপতী মাইতির ঘরে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এতেই রুখে দাঁড়ান গ্রামের মহিলারা। তাদের তাড়া খেয়ে পালাতে গেলে ধরা পড়ে যায় কয়েকজন। তাপ পরেই শুরু হয় গণধোলাই।