গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরে মালদায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি চন্দনা সরকার দাবি করেছেন, গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীসংঘর্ষ। গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগের তির দলীয় উপপ্রধানের স্বামী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগরের বাজি আপ্তি গ্রামে। আহত তৃণমূল কর্মী জিয়াউল শেখ বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতের পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই গ্রাম থেকে জিতে স্থানীয় বীরনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হয়েছেন রুখসানা বিবি। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তোলাবাজির তাণ্ডব। রুখসানা বিবির স্বামী সরিফুল সেখ ও তার দলবল এলাকায় ব্যাপক তোলাবাজি শুরু করে। তোলা দিতে আপত্তি করলেই, গ্রামবাসী থেকে দলীয় কর্মী, তাদের হাতে আক্রান্ত হন সবাই।
আরও পড়ুন, মুড়াকাটার জঙ্গলে ফের উদ্ধার 'মাওবাদী' পোস্টার
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী জিয়াউল শেখ ফানি ও বিড়ি শ্রমিকের কাজ করেন। কদিন আগে জিয়াউল শেখের কাছ থেকে মোটা টাকা তোলা চায় সরিফুল ও তার দলবল। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন জিয়াউল। অভিযোগ, তারপরই তাঁর উপর চড়াও হয় সরিফুল ও তার অনুগামীরা। জিয়াউলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। একটি গুলি জিয়াউলের পায়ে এসে লাগে। সরিফুলের নেতৃত্বে তারপর জিয়াউলের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুন, জেলায় জেলায় ধরপাকড়, খাদ্যমন্ত্রীর ধমক রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনকে
এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ জানায় আক্রান্তের পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাঁদেরই পরিবারের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত সরিফুল সেখ। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি চন্দনা সরকার দাবি করেছেন, গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে।