আস্থা ভোটে অনুপস্থিত বিজেপি কাউন্সিলররা, বনগাঁ পুরসভা দখলে, দাবি তৃণমূলের

বিজেপির অভিযোগ, তাদের ৯ জন কাউন্সিলরকে পুরসভা ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল, তবে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাকি অপহরণে অভিযুক্ত ২ বিজেপি কাউন্সিলরকে ভবনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি । 

Updated By: Jul 16, 2019, 04:38 PM IST
আস্থা ভোটে অনুপস্থিত বিজেপি কাউন্সিলররা, বনগাঁ পুরসভা দখলে, দাবি তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: আস্থা ভোট শেষ। বনগাঁ পুরসভা নিজেদের দখলে বলেই ঘোষণা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরসভার মধ্যেই স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। তৃণমূলের দাবি, বেলা ৩টের সময়ে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৩.১৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন আস্থা ভোট করানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। কিন্তু তৃণমূল চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরা কেউই নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি। উপস্থিত কাউন্সিলরদের ভোটেই জয়ী হন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। সেক্ষেত্রে সময় মতো বিজেপি কাউন্সিলররা না আসায় আস্থা ভোটে  নিজেদেরকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে দেয় তৃণমূল। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তাদের ৯ জন কাউন্সিলরকে পুরসভা ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল, তবে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাকি অপহরণে অভিযুক্ত ২ বিজেপি কাউন্সিলরকে ভবনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি । যদিও তাঁদের গ্রেফতারির ওপর ১ সপ্তাহের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে তাঁরা আস্থাভোটে অংশ নিতেই পারতেন। এমতাবস্থায়, বুধবার ফের হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। এদিন আস্থা ভোটের শেষেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁ পুরভবন চত্বর। বিজেপি পুরভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি নতুন করে খারাপ হয়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ। পুলিসের সামনেই পড়ে বোমা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। 

এক্ষেত্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "বিজেপি কাউন্সিলররা মিথ্যা বলছে, তাঁদের কেউ আটকাননি। তাঁরা নিজেরাই পুরভবনে উঠতে চাননি। যে তিন জন অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরা কেউই তিনটের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা সাড়ে তিনটের সময়ে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন। ততক্ষণে ভোটপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছিল। অনাস্থা ভোট করতে তো আর বেশি সময় লাগে না!" 

 

আস্থাভোট নিয়ে এদিন দুপুর থেকেই ১৪৪ ধারার মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁ পুরসভা। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অপহরণে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলর  হিমাদ্রি ও কার্তিক মণ্ডলকে পুরসভার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। ফলে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেসময় ভোটকক্ষে ছিলেন ৯ তৃণমূল কাউন্সিলর, একজন কংগ্রেস কাউন্সিলর। কংগ্রেসের ওই কাউন্সিলর তৃণমূলকেই ভোট দেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় ১০ জনের সমর্থনেই আস্থাভোটে জয়ী হন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। 

অপহরণে অভিযুক্ত বনগাঁ পুরসভার  দুই বিজেপি কাউন্সিলরের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরকে অপহরণে অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরের গ্রেফতারির ওপর আজই স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।  তাঁদের গ্রেফতারির ওপর ১ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।  বনগাঁ পুরসভার আজকের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এই দুই বিজেপি কাউন্সিলর। সেই নির্দেশের সফট কপি মোবাইলে পুলিস ও হাইকোর্টের চেয়ারম্যানকে দেখান বিজেপি কর্মীরা। তবুও তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। পুরসভার নীচের একটি ঘরে ওই দুই বিজেপি কাউন্সিলরকে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। 

 

.