Municipal Election 2022: 'দলবিরোধী কাজ বরদাস্ত নয়,' পুরভোটের আগেই দল থেকে ২০ জনকে বরখাস্ত তৃণমূলের
৭ পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন দলেরই একাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরভোটের (Municipal Election 2022) আগে দলবিরোধী কাজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কড়া বার্তা দিয়ে দলবিরোধী কাজে অভিযুক্ত ২০ জন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করল মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC)। যুব সভাপতির পদ থেকে অপসারিত আরও একজন। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার ৭ পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন দলেরই একাংশ। ক্ষোভে কেউ নিজে, কেউ আবার নিজের পরিবারের সদস্যদের অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে ভোটে দাঁড় করান। অনেকে আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবেও মনোনয়ন জমা দেন। সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে পুরভোটের (Municipal Election 2022) আগেই দল থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল (TMC) কো-অর্ডিনেটর তথা মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইঞা ও অজিত মাইতি।
বুধবার দুপুরেই মেদিনীপুর জেলাপরিষদ হলে বৈঠকে বসেন জেলার দুই কো-অর্ডিনেটর সহ দুই সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব। ৭ সদস্যের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনী ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের দলবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হবে। সেইমতো খড়গ্পুর পুরসভার ৫ জন, মেদিনীপুর পুরসভার ৭ জন, চন্দ্রকোনা পুরসভার ১ জন, ক্ষীরপাই পুরসভার ১ জন ও রামজীবনপুর পুরসভার ১ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। একইসাথে নিজের পরিবারের সদস্যদের অন্য দল কিংবা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড় করানোয় দল থেকে বহিষ্কার করা হয় আরও ৫ নেতাকে। খড়্গপুরের যুব তৃণমূল সভাপতি অসিত পালকেও সরানো হয় তার দায়িত্ব থেকে।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, দলবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকা মানুষদের কড়া বার্তা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাঁর দাবি, এতজনকে পুরভোটের আগে বহিষ্কার করা হলেও, তার কোনও প্রভাব পুরনির্বাচনে পড়বে না। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। পুরভোটের ঠিক প্রাক্কালে জেলা তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত রীতিমতো নজিরবিহীন বলেও দাবি করছেন জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ।