হলদিয়ায় ঐক্যের বার্তা রাজীবের, হাওড়ায় 'দলের অনুমোদন' ছাড়া মিছিল মন্ত্রীর অনুগামীদের
ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হলদিয়ায় মহামিছিল থেকে সাধারণ মানুষকে যখন ঐক্যের বার্তা দিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন হাওড়ায় 'দলের অনুমোদন' ছাড়া আলাদা করে মিছিল করলেন তাঁর অনুগামীরা। ইস্যু সেই একই, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি। ভোটের মুখে ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বিষয়টি দলের রাজ্য় নেতৃত্বকে জানানো হবে, প্রতিক্রিয়া হাওড়া জেলার (সদর) সভাপতি ও সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের।
আরও পড়ুন: 'অনেকেই ক্ষমতা ভোগ করতে চান, শাসন করতে চান', নাম না করে বিজেপিকে নিশানা রাজীবের
কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখী। এইসব ইস্যুকে হাতিয়ার করে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল। গত ২৬ নভেম্বরে শিবপুর থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন হাওডা় জেলার(সদর) সভাপতি, মন্ত্রী অরূপ রায়। এই ঘটনার পর রবিবার একই ইস্যুতে একই রাস্তায় ফের মিছিল হল তৃণমূলের।
কারা হাঁটলেন এই মিছিলে? বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যানার হাতে মিছিলে দেখা গেল হাওড়া পুরসভার বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর, এমনকী, একদা অরূপ রায়ের আপ্ত সহায়ক সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়কেও। তিনি আবার একসময়ে মধ্য হাওড়ায় তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন। 'বিক্ষুদ্ধ'দের নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন হাওড়ার পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। মন্ত্রী অরূপ রায়ের বক্তব্য, দলের অনুমোদন ছাড়া এই মিছিল করেছেন কয়েকজন কর্মী। বিষয়টি উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে। এদিকে আবার এদিন যাঁরা মিছিলে হাঁটলেন, তাঁরা নিজেদের বিক্ষুদ্ধ বলতে নারাজ। হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, 'কেউই বিক্ষুদ্ধ নয়। বেআইনি কোনও কাজও করা হয়নি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।' মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিধানসভা এলাকায় কী ভাগ বসাতে চাইছে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: একুশের পর দিলীপ ঘোষকে আর রাজ্যে দেখা যাবে না : ব্রাত্য বসু
উল্লেখ্য, এর আগে এদিন হলদিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে মহামিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলে ছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে জনসভায় সাধারণ মানুষকে তিনি বার্তা দেন, 'সবাই এক হয়ে থাকুন। বিভেদকামী শক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেবেন না।' অথচ তাঁর অনুগামীদের কীর্তিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে চলে এল।