নিউটাউনে মমতার সভায় পৌঁছতেই সব্যসাচী শুনলেন ‘গো ব্যাক’
কিন্তু সভায় একেবারে শেষমুহূর্তে কেন পৌঁছলেন সব্যসাচী? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের মন্তব্য, “আগে গেলে বাঘে খায়।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: লুচি-আলুরদম বিতর্কের পর প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেল বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে। বৃহস্পতিবার রাজারহাট-নিউটাউনে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী জনসভার মঞ্চেই দলনেত্রীর মুখোমুখি হলেন সব্যসাচী।
আর তার জেরে দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। এদিন রাজারহাট-নিউটাউনের সভায় নেত্রী পৌঁছানোর মিনিট পাঁচেক আগে যান সব্যসাচী। মঞ্চে তাঁকে উঠতে দেখেই বিক্ষোভ দেখান কর্মীদের একাংশ। ‘গো ব্যাক সব্যসাচী’ বলে চিত্কারও করতে থাকেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা, চূড়ান্ত সর্তকতা জারি পশ্চিম মেদিনীপুরে
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ মঞ্চে ছিলেন, ততক্ষণই উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের মেয়র। সভা শেষে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একান্তে কথা বলতেও দেখা যায়।
তবে এদিনের সভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের এলাকা সুজিত বসু সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ''এখানকার এক গদ্দার লোকসভার টিকিট চেয়েছিল, দিইনি!'' অর্জুন-গড়ে দাঁড়িয়েই তোপ মমতার
অন্যদিকে বিধাননগরের কাউন্সিলরদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, পুরনিগমের কাজে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। রাস্তাঘাট আরও ভালো করতে হবে। জমিহারাদের কাজ দেওয়ার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে তিনি জানান ভালো নেতা হতে গেলে কী গুণ থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এলাকার নেতা হতে গেলে এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে 'ফণি', কাল থেকে সরকারি সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা নবান্নের
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে এক রাতে আচমকা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তর বাড়িতে হাজির হন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর তিনি চলে যান। যাওয়ার আগে জানান যে তিনি সব্যসাচীর বাড়িতে লুচি-আলুরদম খেতে এসেছিলেন।
আর তার পরই রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে ওঠে। সব্যসাচী দত্তর বিজেপিতে যোগদান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও সেই জল্পনা সত্যি হয়নি। এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন তিনি। তবে দলের একাধিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম ছিল না। অনেক অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য করেই রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণের মধ্যে তৃণমূলের যোগ দিতে চলেছেন সিপিএমের এই প্রাক্তন সাংসদ
ফলে প্রশ্ন উঠছিল, সব্যসাচী কি ক্রমশ তৃণমূল কংগ্রেসে ব্রাত্য হচ্ছেন! নাকি ইচ্ছাকৃত সব্যসাচী দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন! যদিও সেই সব প্রশ্নের উত্তর এদিন মমতার সভায় উপস্থিত হয়েই সব্যসাচী দিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
কিন্তু সভায় একেবারে শেষমুহূর্তে কেন পৌঁছলেন সব্যসাচী? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের মন্তব্য, “আগে গেলে বাঘে খায়।”