দামি গাড়ি চড়ে দূরত্ব বাড়ানো নয়, টোটো চেপেই দুয়ারে দুয়ারে বলাগড়ের বিধায়ক
ভোটে জেতার পর সাদামাটা একটা অফিস করেছেন মনোরঞ্জনবাবু। যেখানে সাধারণ মানুষের অবাধ আসা-যাওয়া
![দামি গাড়ি চড়ে দূরত্ব বাড়ানো নয়, টোটো চেপেই দুয়ারে দুয়ারে বলাগড়ের বিধায়ক দামি গাড়ি চড়ে দূরত্ব বাড়ানো নয়, টোটো চেপেই দুয়ারে দুয়ারে বলাগড়ের বিধায়ক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/06/17/327097-7.gif)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধায়ক হওয়া মানেই কপাল ফিরে যাওয়া। রাতারাতি দামি গাড়ি, অন্যরকম জীবন। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর ক্ষেত্রে এমন কথা একেবারেই খাটে না। আগের মতো এখনও সাদামাটা জীবন তাঁর। একেবারে আমজনতার মানুষ।
আরও পড়ুন-সুখবর! কাটা হবে না চালান, পুরনো লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশনেই চলবে গাড়ি
একটা সময় নিজের সংসার সামলাতে রিক্সা চালিয়ে জীবন কাটাতে হয়েছে। সেই মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এবার প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের সময় থেকে তিনি নিজেই রিক্সা চালিয়ে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার সেরে ছিলেন। মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। এখনও সেরকমটাই রয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে এবার রিক্সা ছেড়ে টোটোকেই বাহন হিসেবে বেছে নিলেন। বললেন, এই টোটো চালাতে লাগবে না ডাইভার। প্রয়োজনে নিজেই তা চালিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন মানুষের দুয়ারে। আবার প্রয়োজনে অসুস্থ মানুষকে চাপিয়ে নিয়ে পৌছে দিতে পারবেন হাসপাতালে।
এরকম বিধায়ক এই রাজ্য কিংবা দেশে কজন আছেন বলা শক্ত। মনোরঞ্জনবাবু(Manoranjan Bapari) বললেন, এমনিতেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম যে হারে বাড়ছে,সেখানে সামান্য বিদ্যুৎ খরচ করেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন। মানুষকে নিয়েই তার জীবন গড়ে উঠেছে। নিজের জীবন দিয়ে তিনি দেখেছেন জগতের মানুষকে। তাই সেই কথাটিকে মাথায় রেখেই তিনি মানুষেরই কাছের লোক হয়ে থাকতে চান সারা জীবন।
ভোটে জেতার পর সাদামাটা একটা অফিস করেছেন মনোরঞ্জনবাবু। যেখানে সাধারণ মানুষের অবাধ আসা-যাওয়া। সবার সঙ্গে মিশে যাওয়াটাই মনোরঞ্জন ব্যাপারীর আসল রসায়ন। বলাগড়(Balagarh) দেখেছে, ভোটের আগে নেতারা আসতেন। ভোট মিটে গেলে আর তাদের খুঁজে পাওয়া যেত না। তবে এবার এই বিধানসভায় এখন এক আজব ঘটনা ঘটে চলেছে। ক'দিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বিধায়ক নিজে এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছেন কারোর বাড়ি কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। বিধায়ক এরকম কারোর বাড়ির ভেতর ঢুকে তার সমস্যার কথা জানতে চাইছেন তা আগে দেখা যায়নি এলাকায়।
আরও পড়ুন-খবর পেয়ে কয়েক সেকেন্ডেই সিদ্ধান্ত, মৃত ছেলের দেহ করোনা গবেষণায় দান বাবা-র
বলাগড়ের বহু মানুষ একবাক্যে বলেছেন এতদিন বিধায়ককে ভোটের আগে দেখতাম। তারপর হাওয়া। কখনোই আসেনি কেমন আছি সেটা জানতে। কিন্তু এই বিধায়ক বাড়ি এসে নিজে দেখে যাচ্ছেন বাড়ির সবাই কেমন আছে। খোঁজ নিচ্ছেন কোন অসুবিধে হচ্ছে কিনা। বলে যাচ্ছেন দরকারে তিনি পাশে আছেন।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)