Giasuddin Molla: আর কত দিন করে খাবেন! দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কাটমানি খাচ্ছে। আর সেই কথায় এবারের সিলমোহর দিলেন নিজের দলের বিধায়ক। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছে
নকিবুদ্দিন গাজি: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার পরেও কাটমানি খাওয়ার বিরাম নেই। এমনই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত প্রধান-সহ দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।
আরও পড়ুন-গেমিং অ্যাপ খুলে প্রতারণা, সাতসকালেই ভবানীপুরে ইডির হানা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উত্তর কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের দিদির দূত কর্মসূচিতে যোগ দেন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সেখানেই গিয়াসউদ্দিন বলেন, সব পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে মিটিং করছি। কী সুবিধে, কীসে অসুবিধে তা জানার চেষ্টা করছি। পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে তালা দেওয়া। তাদের খবর দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত বাপের সম্পত্তি! পঞ্চায়েতে তালা দেওয়া। কেউ আসেনি। আর কত দিন করে খাবেন? আর তো তিন মাস বাকী। এবার খাওয়া বন্ধ করুন। গিয়াসউদ্দিন কিছু বললেই খারাপ। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। বুথে বুথ শিক্ষিত লোক, ভালো লোক ঠিক করছি।
দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কাটমানি খাচ্ছে। আর সেই কথায় এবারের সিলমোহর দিলেন নিজের দলেরেই বিধায়ক। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছে। এলাকার তৃণমূল নেতা মহ ইমরান বলেন, বিরোধীদের কথায় কান দিয়ে লাভ নেই। তৃণমূল কংগ্রেস একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল। বিধায়ক যেটা বলেছেন তা হয়তো অন্য প্রসঙ্গে বলেছেন। গিয়াসউদ্দনদা যা বলেছেন তা ঠিক নয়।
গিয়াসউদ্দিনের ওই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যখন বেলা গড়িয়ে গিয়েছে তখন এদের বোধদয় হচ্ছে। পঞ্চায়েতগুলিকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য দিল্লি থেকে টাকা আসছিল তাতে না হয়েছে রাস্তা, না হয়েছে জলের ব্যবস্থা। এখন মানুষের কাছে যেতে হবে তাই টেনশন হচ্ছে। গিয়াসউদ্দিন যা বলেছেন তা ঠিকই বলেছেন। সাধারণ মানুষ তো দেখতে পাচ্ছেন। নেতাদের গাড়ি বাড়ি বোলচাল দেখলেই বোঝা যা কী পরিমাণে লুঠপাট করেছে।
অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, যে অভিযোগ হচ্ছে তা যদি দলের কাছে আসে তাহলে দল ছেড়ে কথা বলবে না। আমাদের নেত্রী ও সেনাপতি ওই ধরনের দুর্নীতিকে রেয়াত করেন না। বিরোধীদের কথা ছাড়ুন। তৃণমূল কংগ্রেস তবুও তো পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিজেপি যারা দুর্নীতি করে বসে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তো দল ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।