Suvendu Adhikari: ডিসেম্বর মাসে এই সরকার আর থাকবে না; দেখতে থাকুন, চাঞ্চল্যকর 'ভবিষ্যদ্ববাণী' শুভেন্দুর
শুভেন্দুর ওই দাবির পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে আজ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এখানে বিরোধী দলনেতা কী বলছেন, কী ধরনের জ্যোতিষী জানি না। ওঁকে বিহারে নিয়ে যেতে পারত। উনি তো বিহারটা সামলে দিতে পারতেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলে যাওয়া, অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব নিয়ে প্রবল চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। এরকম এক পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দিল্লিতে বৈঠকে ডাকল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এর মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে প্রবল জল্পনা সৃষ্টি করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতার দাবি, ডিসেম্বর মাসে এই সরকার কার্যত আর থাকবে না। ২০২৪ সালে বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন একসঙ্গে হবে। দেখতে থাকুন। শুভেন্দুর এই ভবিষ্যতবাণী নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। বিহারে বিজেপির হাত ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। এমনই এক পরিস্থিস্থিতে শুভেন্দু দাবি, ঝাড়খণ্ড পাল্টাবে। তারপর পশ্চিমবঙ্গও যাবে।
আরও পড়ুন-তাঁর বিকিনি-ছবিতে মজে পড়ুয়া, অভিযোগের জেরে কলেজ ছাড়তে বাধ্য হলেন অধ্যাপিকা
শুভেন্দুর ওই দাবির পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে আজ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এখানে বিরোধী দলনেতা কী বলছেন, কী ধরনের জ্যোতিষী জানি না। ওঁকে বিহারে নিয়ে যেতে পারত। উনি তো বিহারটা সামলে দিতে পারতেন? উনি যত কম কথা বলেন ততই ওঁর পক্ষে ভালো, দলের পক্ষেও ভালো।
রাজ্যে পালাবদলের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, আমি তো আর জ্যোতিষী নই! অন্যকেউ জ্যোতিষী হতে পারেন বা রাজনৈতিক পণ্ডিত হতে পারেন। রাজনীতিতে সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। যখন তখন রাজনীতিতে কোনও কিছু ঘটতে পারে। আগাম কিছু বলা মুসকিল। সরকার পড়ে যাবে এমন কথা আমি বিশ্বাস করি না। কেন্দ্র যদি সরকার ভেঙে দেয় তাহলে আলাদা কথা।
এর আগেও এমন কথা বলেছেন শুভেন্দু। গত ২৭ জুন কোচবিহারের এক সভায় শুভেন্দু বলেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত যেতে হবে না। ২০২৪ সালেই এই সরকারকে বিসর্জন দিয়ে দেব। সবেমাত্র মহারাষ্ট্র হয়েছে, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের পর বাংলাতেও পৌঁছে যাব।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপিকে আলবিদা করে আরজেডির হাত ধরলেন নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে সরকার গঠনের জন্য তেজস্বীর হাত ধরে রাজভবনেও পৌঁছে গেলেন তিনি। বিজেপি তাঁকে পাল্টুরাম বললেও একই কথা নীতীশ সম্পর্কে বলেছিলেন তেজস্বীও। তবে পাল্টু রাম নয়, পাল্টুচাচা। তারই শেষপর্য়ন্ত হাত ধরলেন লালু পুত্র। ফলে কম ব্যবধানে বিহারে সরকার গঠন করলেও এবার আর তা টিকিয়ে রাখতে পারল না বিজেপি।