বিহারের কাঁচামালে টিকিয়াপাড়ায় তৈরি অস্ত্র ফের চলে যেত মুঙ্গেরে! নয়া তথ্য

অস্ত্র কারখানার মূল মাথা কে? বাজেয়াপ্ত অস্ত্র কোথায় ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল? তার খোঁজ করতে বিহারের গিয়েছে হাওড়া পুলিশের গোয়েন্দা টিম।    

Updated By: Dec 20, 2018, 11:04 AM IST
বিহারের কাঁচামালে টিকিয়াপাড়ায় তৈরি অস্ত্র ফের চলে যেত মুঙ্গেরে! নয়া তথ্য

অর্ণবাংশু নিয়োগী:  বিহারে থেকে কাঁচামাল আসছে পশ্চিমবঙ্গে। এরপর এখানে বসেই তৈরি হচ্ছে অস্ত্র। বানানোর পর সেই অস্ত্র আবার ফিরে আসছে বিহার, মুঙ্গেরে।   টিকিয়াপাড়া অস্ত্র কারখানার তদন্তে নেমে বিহারে গিয়ে পুলিসের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে কাঁচা মাল সরবরাহ হত টিকিয়াপাড়ায়। বন্দুক বানানোর পর সেটা আবার ফিরে যেত মুঙ্গেরে। শুধু তাই নয়,  অস্ত্র বানানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত লোক পাঠানো হত টিকিয়াপাড়ায়।   

অস্ত্র কারখানার মূল মাথা কে? বাজেয়াপ্ত অস্ত্র কোথায় ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল? তার খোঁজ করতে বিহারের গিয়েছে হাওড়া পুলিশের গোয়েন্দা টিম।    সেখানে গিয়ে গোয়েন্দারা ওয়ার্কশপের কথা জানতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুঙ্গেরে রওনা হয় দল। হাওড়া পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্যাকেট করা অস্ত্র গুলি কোথায় ডেলিভারি করার কথা ছিল সেটা জানা দরকার।’’

আরও পড়ুন: মাঝের ব্যাক্তি কে? টিকিয়াপাড়া অস্ত্র কারখানার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

এদিকে, ধৃতদের জেরা করে পুলিশ আগেই জানতে পেরেছে বড় অর্ডার নেওয়া হত না। ছোট ছোট অর্ডার নিয়ে কাজ হত। তাও টানা কাজ হত না। মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ রাখা হত।

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহ আনোয়ার,মহ সোহেল ও মহ নিরাজ আনসারি ।  তিন জনকে  হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছে।  জেরায় জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজন বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। টিকিয়াপাড়া এলাকার গঙ্গারাম বৈরাগী লেনে ঘর ভাড়া করে লেদ কারখানা করেছিল। এখানেই গোপনে চলত আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্য অপরাধী  করা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: দিনহাটায় স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের গুলি

ঙ্গারাম বৈরাগি লেনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিস। তল্লাসিতে চল্লিসটি পিস্তল উদ্ধার হয়। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর  সরঞ্জামও উদ্ধার করেছে পুলিস। মূলত লেদের কাজের আড়ালেই চলত আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র তৈরি। ইতিমধ্যে গঙ্গারাম বৈরাগী লেনে এবং তার আশেপাশের এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।  স্থানীয় কোনও মানুষের ওই কারখানায় যাতায়াত ছিল কিনা? তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।  তাছাড়া গত ৭ বছরের একই লোক কাজ করছে কিনা,  সেই সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন তদন্তকারিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘর ঠিক করে দেওয়া ব্যক্তির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, টিকিয়াপাড়ায় এর আগে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কারখানার সঙ্গে গঙ্গারাম বৈরাগী লেনের কোনও যোগ আছে কিনা, তাও খোঁজ করা হচ্ছে পুলিশ সূত্রের খবর।

.