বুদ্ধির জোরেই নিজের বিয়ে আটকালো সাহসিনী নাবালিকা
বাড়ি থেকে পালিয়ে কুলতলি থানায় গিয়ে সরসরি পুলিসি সাহায্য চায় ঐ নাবালিকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় এসে নিজের বিয়ে বন্ধের আর্জি জানাল এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার পূর্ব রাধাবল্লভপুর গ্রামে। পড়াশোনা শিখে সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছে ছিল কুলতলী থানার চুপড়িঝাড়া অঞ্চলের পূর্ব রাধাবল্লভ পুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ১৫-র আলমামুন হালদার। বাড়ির লোক হঠাৎ বিয়ে ঠিক করে। বাড়ির লোককে অনেক বুঝিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় বাড়ি থেকে পালিয়ে কুলতলি থানায় গিয়ে সরসরি পুলিসি সাহায্য চায় ঐ নাবালিকা।
আরও পড়ুন: বিয়ের নাটক করে 'রূপশ্রী'র টাকা আত্মসাত্ করতে গিয়ে জালে পাত্রীর বাবা
আলমামুন জয়নগর থানার হাসানপুর এলাকায় মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত ওই নাবালিকা। জয়নগর শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। কয়েকদিন আগে স্কুলের পরীক্ষা শেষ করে কুলতলিতে নিজের বাড়িতে যায় সে। সেখানে গিয়ে জানতে পারে, তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছে।
বিয়ের কথা শুনে আলমামুন তার বাবা আলিমুদ্দিন হালদার কে অনুরোধ করলেও কোনও ফল না হওয়ায় টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে কুলতলী থানায় আসে এবং পুলিসকে পুরো ঘটনা জানায়। কুলতলি থানার পুলিশ ঐ নাবালিকাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় আপাতত তাঁদের হেপাজতেই থাকবে আলমামুন। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।