Abhishek Banerjee: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নজরে নদিয়ার তাঁতশিল্পীরা, ডিসেম্বরে রানাঘাটের সভায় বিশেষ বার্তা অভিষেকের!
রানাঘাটে প্রচুর মানুষ তাঁত শিল্পী। তাদের দিকেও নজর থাকবে তৃণমূলের। এর পাশাপাশি নদিয়ার তাঁত শিল্পীদের গুরুত্ব দিতে ১৬ ডিসেম্বর শান্তিপুরে প্রথম শ্রমিক সম্মেলন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সভায় থাকবেন স্বপন দেবনাথ, ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়, মলয় ঘটকের মতো নেতা
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুকে সভা করার পর এবার রানাঘাটে বিজেপির গড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর রানাঘাটে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, রানাঘাটে সভা করার পেছনে বেশ কয়েকটি লক্ষ্য রয়েছে অভিষেকের। তার মধ্যে একটা অবশ্যই পঞ্চায়েত ভোট। তবে সেই লক্ষ্যে এগোতে গিয়ে তৃণমূল জোর দিচ্ছে জেলার তাঁত শিল্পীদের উপরে।
আরও পড়ুন-হিজাব ছাড়াই প্রতিযোগিতায় ইরানের এলনাজ রেকাবি, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি
গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। পাশাপাশি বিধানসভাতেও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি রানাঘাটে দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। এবার ১৭ ডিসেম্বর রানাঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের দিন অর্থাত্ ১৬ ডিসেম্বর শান্তিপুরে তাঁত শিল্পীদের রাজ্য সম্মেলন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সভায় থাকবেন স্বপন দেবনাথ, ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়, মলয় ঘটকের মতো নেতা। উদ্দেশ্য হল, তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানা, সেইসব সমস্যা সমধান করা, সরকারি সুযোগ সুবিধে পাচ্ছেন কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া। প্রসঙ্গত, রানাঘাটের ভোটারদের একটি বড় অংশই হল তাঁতশিল্পী। ফলে তারাই এখন তৃণমূলের লক্ষ্য। রাজনৈতিক মহলের মতে রানাঘাটের সভা থেকে জেলার তাঁত শিল্পীদের জন্য বিশেষ কোনও বার্তা দিতে পারেন অভিষেক। এভাবেই তাঁতশিল্পীদের দিয়ে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ককে ধাক্কা দিতে পারে ঘাসফুল শিবির।
গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের মন জয় করার জন্য় আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ঘোষণা করা হয়েছিল সিএএ পাস করিয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়াদের মন পেতে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে মতুয়া ধর্মগুরুর পৈত্রিক ধামেও গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার পরেও সমস্যার কোনও হাল হয়নি। সিএএ পাস হওয়ার পরও এতদিনেও এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারেনি কেন্দ্র। ফলে মতুয়াদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। তাকেও হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল। এমনটাও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।