Talk to Mayor: 'মেয়রকে বলো', প্রতি শনিবার ৩০টি ফোন ধরছেন গৌতম দেব, সঙ্গে সঙ্গে সমাধান!
মেয়র গৌতম দেব বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এই ধরনের কর্মসূচি গুলি শেখা
নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরবাসীকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে এসে ঘুরতে হচ্ছিল এঘর থেকে সেঘর। এই টেবিল থেকে সেই টেবিল। কিন্তু হঠাৎ এ যেন ফোনই মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়াল শহরবাসীর সামনে। নেপথ্যে "টক টু মেয়র" বা মেয়র কে বলো কর্মসূচি।
দুমাস আগের পৌরসভার নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে, এই প্রথম শিলিগুড়ি পুরো নিগমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেয়রের আসনে বসেছেন গৌতম দেব। তারপর থেকেই শহরবাসীর সুবিধার জন্য নিয়েছেন একাধিক ব্যবস্থা। বিভিন্ন সময়ে শহরবাসী ছোট- বড় সমস্যা নিয়ে শিলিগুড়ি পৌরনিগমে ছুটে আসেন। যতজন সম্ভব প্রায় সকলের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেন মেয়র, পাশাপাশি দূর দূরান্তে থাকা শহরবাসীর জন্য চালু করেছেন দুটি মাধ্যম। প্রথমটি "টক টু মেয়র" বা মেয়র কে বলো। দ্বিতীয় টি "রাইট টু মেয়র"। যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে যারা ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন না তাদের জন্য শিলিগুড়ি পৌর নিগমের ওয়েবসাইটে রাইট অপশন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তারা তাদের অসুবিধার কথা লিখতে পারেন।
প্রতি শনিবার প্রায় ঘন্টা-খানেক সাধারণ মানুষদের ফোনে কথা বলেন মেয়র গৌতম দেব। শহরবাসী যেমন অসুবিধার কথা জানান মেয়রকে পাশাপাশি সমস্যার সমাধান হলে ধন্যবাদ জানাতে ফোন করেন বহু মানুষ। পৌরনিগমের সূত্রের খবর প্রতি শনিবার প্রায় গড়ে ৩০ টি ফোন কল ধরেন মেয়র। প্রতিটি সমস্যা খতিয়ে দেখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন সঙ্গে সঙ্গে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট ছোট সমস্যা দু-তিন দিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কোন বড় সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা দপ্তর এর সাথে কথা বলেন মেয়র নিজে।
ঠিক তেমনই আজ "মেয়র কে বলো" কর্মসূচির মাঝে নিজের সমস্যার সমাধানের পর ধন্যবাদ জানানোর জন্য ফোন করেন সঞ্জীব সরকার। পেশায় তিনি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসায়ী। তিনি জানান ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয় দীর্ঘদিন পৌরনিগমের ট্রেড লাইসেন্স দপ্তরে গিয়ে ঘুরে এসেছেন, পরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন মেয়র কে বলো কর্মসূচির কথা। তৎক্ষণাৎ ফোন করেন হেল্পলাইন নম্বরে, মেয়র এর সাথে কথা বলেন মেয়রকে জানান তার অসুবিধার কথা। দুদিনের মধ্যে তার সমস্ত রকম কাগজ পর্যবেক্ষণ করে তার হাতে ট্রেড লাইসেন্স তুলে দিয়েছেন কর্পোরেশনের সচিব। লাইসেন্স পেয়ে ভীষণ ভাবে উপকৃত হলাম, তাই আজ আবার মেয়রকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ফোন করেছিলাম। এ ধরনের ব্যবস্থায় ভীষণ খুশি আমরা, ধন্যবাদ মেয়রকে।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এই ধরনের কর্মসূচি গুলি শেখা। তিনি সব সময় বলেন কোন কাজ ফেলে না রাখতে, প্রতি শনিবার এ ধরনের কর্মসূচি আমরা নিয়ে থাকি। প্রচুর মানুষ তাদের সমস্যার কথা সরাসরি আমাকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নাম এবং নাম্বার লিখে রাখা হয়, সবকটি সমস্যা খতিয়ে দেখা হয় ও সমাধানের চেষ্টা করা হয়। আজ প্রায় ২৪ জনের সঙ্গে কথা বলেছি তার মধ্যে থেকে চারজন সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে ভীষণ খুশি হয় শহরবাসী দিনের শেষে এটাই আমার পরিতৃপ্তি।
আরও পড়ুন- 'বিপ্লব' জমানার শেষে ত্রিপুরার মসনদে ডাক্তার 'মানিক'