তাজপুরে বন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত মমতার, কেন্দ্রকে অংশীদার না করলে লোকসান রাজ্যের
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর তাজপুরে। দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকেই স্পষ্ট করেন মমতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন আগে প্রস্তাবিত হলেও পড়ে রয়েছে তাজপুর বন্দর তৈরির কাজ। ঠিক হয়েছিল, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠবে তাজপুর বন্দর। কিন্তু, বহুদিন পার হয়েছে। এগোয়নি কাজ। কেন্দ্রের টালবাহানা না পসন্দ মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্রের সাহায্যের অপেক্ষা না করে নিজের উদ্যোগেই তাজপুর বন্দর তৈরি করে নেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার দিঘায় কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধনে এমনই ঘোষণা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্ত কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া কী বন্দর নির্মাণ সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেজে উঠেছে পাহাড় থেকে সমতল। শুধু রাস্তাঘাট নয়। পর্যটক টানতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে সৌন্দর্যায়নে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর তাজপুরে। দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকেই স্পষ্ট করেন মমতা। চাইলেই কি তাজপুরে একক প্রচেষ্টা বন্দর তৈরি করতে পারবে? বিশেষজ্ঞদের মতে বিষয়টা খুব সহজ নয়। কেন? সমুদ্রের কতখানি এলাকা ব্যবহার করতে পারবে তাজপুরে প্রস্তাবিত বন্দর, তা নির্ধারণ করবে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে বন্দর তৈরিতে কলকাতা পোর্ট অংশীদার না হলে, ছাড়পত্র পাওয়া মুশকিল হতে পারে।
প্রস্তাবিত বন্দর তৈরির জন্য তাজপুরে চারটি জায়গা বেছে নিয়েছিল কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রথমটি হল তাজপুর সৈকত। সমুদ্রের ধারেই তৈরি হতে পারে প্রস্তাবিত বন্দর। দ্বিতীয় ছিল সৈকত থেকে বারো কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রের মধ্যে। তৃতীয়টি হল সৈকত থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে এবং চতুর্থটি হল গভীর সমুদ্রে বন্দর। একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই সার্ভে রিপোর্টে দেখা যায় যে তাজপুরের বন্দর তৈরি তেমন লাভজনক হবে না। অভ্যন্তরীণ সার্ভে রিপোর্টে বলছে, তাজপুরের বন্দর অর্থনৈতিক ভাবে তখনই সফল হবে, যখন কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে অর্থ সঙ্কটকে সঙ্গী করে কোনও একক সংস্থার পক্ষে বন্দর চালানো কতটা সম্ভব, তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: রানাঘাটের স্টেশন থেকে বলিউডে প্লে ব্যাক, হিমেশের সুরে গাইলেন রানু