'জয় শ্রী রামের মতো পবিত্র শব্দ হয় না', ফের Mamata-কে নিশানা Suvendu-র
'এখন শুধু বলতে হবে হরিবোল হরিবোল। সময় হয়ে গিয়েছে।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জয় শ্রী রামের মতো পবিত্র শব্দ হয় না। মুখ্যমন্ত্রী জয় শ্রীরাম শব্দ শুনে বলছে, আমাকে অপমান করা হয়েছে।' ভিক্টোরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে নন্দীগ্রামের সভা থেকে ফের মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, 'রামরাজ্য মানে সুশাসন। সবাই দু'বেলা খেতে পাবে, সবার মাথায় পাকা ছাদ থাকবে। বেকারদের হাতে কাজ থাকবে। কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জয় শ্রী রাম বললে রেগে যাচ্ছেন, আর তাঁর ভাইপো তোলাবাজ বললে রেগে যাচ্ছে।'
বিধানসভা ভোটের (Assembly Election 2021) আর বেশি দেরি নেই। যতদিন যাচ্ছে, রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। নিজের পুরনো দল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে নিজেই সেখানে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিন সেই নন্দীগ্রামেই জনসভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, 'মাননীয়া এসেছিলেন তেখালিতে, সেটা হায়দরাবাদের দলের সভা হয়েছিল। নন্দীগ্রামের জনগণের সভা হয়নি। পাঁচ বছর অন্তর ভোটের সময়ে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে।' তাঁর কটাক্ষ, 'বলছে আমার বড় বোন ভবানীপুরে, মেজবোন নন্দীগ্রাম। কিছু দিন পরে বলবে, সেজবোন ডোমজুড়, ছোটবোন বালি। দুটো জায়গায় দাঁড়াচ্ছেন কেন? আমরা তো বললাম, একটি জায়গায়, নন্দীগ্রামে দাঁড়ান। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। ১৪টি অঞ্চলে ভোকাট্টা করে দেব।'
আরও পড়ুন: দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে জেলায় জেলায় ট্রাক্টর মিছিল
উল্লেখ্য, দলবদলের পর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নয়া স্লোগান, 'কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে'। এদিন জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান চুরির অভিযোগ করেন তিনি। সঙ্গে কটাক্ষ, 'কৃষ্ণ হরে হরে বললে হবে না। এখন শুধু বলতে হবে হরিবোল হরিবোল। সময় হয়ে গিয়েছে।' ২১ বছর পর তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন কেন? শুভেন্দুর দাবি, 'দীর্ঘদিন ধরে অপমানিত হয়েছি। দেখেছি, সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা ল্যাম্পপোস্ট, একটাই পোস্ট। আমার মেরুদণ্ড সোজা, শক্ত। এটা মানতে পারব না। তাই তৃণমূল যখন কোম্পানি হয়ে গেল, তখন কর্মচারী হতে রাজি হলাম না। বিশ্বের বৃহত্তম দল বিজেপি-র খাতায় নাম লেখালাম। মেদিনীপুরের মাটিতে এক লক্ষ মানুষের সঙ্গে আমায় গ্রহণ করলেন অমিত শাহজি।'