Bank Fraud: গ্যাসের ভর্তুকি দেব বলে এল ফোন, ওটিপি দিতেই ধাপে ধাপে উধাও প্রায় দেড় লাখ

Bank Fraud: সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করে ইতিমধ্যেই বেশকিছু টাকা ফেরত পেয়েছেন সিউড়ির ওই মহিলা। বাকী টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা....

Updated By: Dec 20, 2023, 02:19 PM IST
Bank Fraud: গ্যাসের ভর্তুকি দেব বলে এল ফোন, ওটিপি দিতেই ধাপে ধাপে উধাও প্রায় দেড় লাখ

প্রসেনজিত্ মালাকার: গ্যাসের ভর্তুকি ফেরত দেওয়ার নাম করে সিউড়ির এক বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চার ধাপে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল সাইবার জালিয়াতরা। যদিও সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জমা দেওয়ার পরেই চুরি যাওয়া ৯০ হাজার টাকা ফিরে পেয়েছেন কেয়া গঁড়াই নামে সিউড়ির লালদিঘি পাড়ার ওই বাসিন্দা। বাকি টাকাও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় নিজের অসাবধানতাকেই দায়ি করছেন কেয়া গঁড়াই।

আরও পড়ুন-'মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন, সময় বেঁধে সমাধানের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর', বললেন মমতা!

সোমবার দুপুরে হঠাৎই কেয়ার ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। মোবাইলে নম্বরটি একটি গ্যাস এজেন্সির নাম্বার হিসেবে দেখায়। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কেয়াকে বলা হয় কেয়ার নামে থাকা গ্যাসের ভর্তুকি বাবদ বেশ কিছুটা টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সেই টাকা পাওয়ার জন্য আধার কার্ড ও ডেবিট কার্ডের নম্বর সহ বেশ কিছু গোপনীয় তথ্য চাওয়া হয় কেয়ার কাছে। ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে সেই সমস্ত তথ্য দেন কেয়া ৷ এরপর একটি ওটিপি দিতে বলা হয় তাঁকে। সেটিও দিয়ে দেন তিনি ৷ এরপরই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়৷ এরপরও তাঁকে আবারও ফোন করে বলা হয়, কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তাঁর টাকা কাটা গিয়েছে, নতুন একটি ওটিপি দিলেই কেটে নেওয়া টাকা এবং ভর্তুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। দ্বিতীয়বারও বিশ্বাস করে ঠকে যান কেয়া গড়াই। আবারও তিন ধাপে ৫০ হাজার টাকা, ৪০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে।

বিপুল টাকা চলে যাওয়ার পরই সিউড়ির সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। প্রাথমিকভাবে ৯০ হাজার টাকা খোওয়া যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। থানা থেকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগের ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৯০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয় কেয়ার অ্যাকাউন্টে। এরপর ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করতে গিয়ে তিনি আরও ৫৫ হাজার টাকা জালিয়াতির ঘটনা বুঝতে পেরে দ্বিতীয়বার সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন তিনি। তবে সেই টাকা মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ফেরানো যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। সিউড়ি সাইবার ক্রাইম থানার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় গোপনীয় নথি তুলে দেওয়ার ফলেই মূলতঃ জালিয়াতি হয়। এরপরেও দ্রুত থানায় যোগাযোগ করলে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।

কেয়া গঁড়াই বলেন, গতকাল সাড়ে বারোটার সময় একটা ফোন এসেছিল। বলল গ্যাসের ভর্তুকির জন্য ফোন করেছি। আপানার আগের ভর্তুকি জমা রয়েছে। এর জন্য কিছু নথি লাগবে। বেশিকিছু চিন্তা না করে আধার,প্যান দিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর বলল একটা ওটিপি যাবে। ওই ওটিপি দিলে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। আমি ওটিপি দিয়েছিলাম। তার পরই প্রথমেই আমার ৫০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে যায়। ওই টাকা কাটার পর আমি বললাম আমার টাকা তো কেটে গেল! ওপ্রান্ত থেকে বলা হল, আমাদের ভুল হয়েছে। আবার ওটিপি পাঠাচ্ছি, আপানার টাকা পেয়ে যাবেন। কী যে হল ওই টাকাও দিয়ে ফেললাম। ফের টাকা চলে গেল। এভাবে আমার মোর দেড় লাখ টাকা চলে গিয়েছে। তারপর আমি সাইবার সেলের কাছে গেলাম। ওখানে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হল। আমি ৯০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। এর জন্য ওদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরপর পর ব্যাঙ্কে গেলাম। পাসবই আপডেট করে দেখলাম ৫০ হাজার টাকা কেটে গিয়েছে। ফের সাইবার সেলে গেলাম। ওরা আণার অভিযোগ নিলেন। বলছেন টাকা ফেরতের চেষ্টা করছেন। কোথা থেকে টাকা কাটা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। সেটা সাইবার ক্রাইমের অফিসাররাই বলতে পারবেন। একটা নম্বর থেকে বহুবার ফোন এসেছে। এমনকি ৯০ হাজার টাকা কেটে নেওয়ার পরও ফোন এসেছে। সাইবার থানার অফিসাররা খুব চেষ্টা করছেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.