Asansol Student Death: মোমো খেতে বেরিয়ে নিখোঁজ ছাত্র; দেহ মিলল পুকুরপাড়ে, সহপাঠীকে জেরা করতেই বেরিয়ে এল সবকিছু
Asansol Student Death: মৃতের মা অনিতা কেশরী বলেন বন্ধুদের সঙ্গে যা আলোচনা হতো তা ও ওর বাবাকে বলে দিত, সেই জন্যই খুন। তারা এই অভিযোগ তো আমাকে করতে পারত। খুন কেন করে দিল আমার ছেলেকে?
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: মোমো খেতে বেরিয়ে আর ঘরে ফেরেনি দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। পরদিন পুকুরপাড়ে মিলল রক্তাক্ত মৃতদেহ। এনিয়ে তোলপাড় হল এলাকা। তবে পুলিস তদন্তে নেমে সহপাঠীকে জেরা করতেই বেরিয়ে এল ছাত্রখুনের আসল কারণ। এইটুকু কারণের জন্য কাউকে খুন করা হতে পারে তা ভাবতেই পারছেন নিহত ছাত্রের বাড়ির লোকজন। জামুরিয়ায়র ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন- মথুরাপুরে বিরোধী প্রার্থী অপহরণে ফের ট্যুইস্ট! বাড়ি ফিরতেই বদলে গেল বয়ান
প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মোমো খাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যায় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া আনন্দ কেশরী(১৮)। তার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। রবিবার সকালে উদ্ধার হল তার রক্তাক্ত দেহ। পরিবারের লোকজন খুনের অভিযোগ তোলে। জামুরিয়া হিন্দি হাট হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আনন্দ। রবিবার জামুরিয়া নন্ডি শ্মশান সংলগ্ন জোড়া পুকুরের কাছে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী এক কিশোর তথা আনন্দের সহপাঠীকে আটক করে পুলিস। কোন বিবাদ থেকে সে বন্ধুকে খুন করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জামুরিয়া থানার পুলিস।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সেন্ট্রাল (টু) শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আমি ও জামুরিয়া থানার পুলিস তদন্ত শুরু করি। ঘটনার মূল কারণ কী? কী কারনে এই হত্যার ঘটনা সংঘটিত করা হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। ইতিমধ্যে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। আটক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সে খুনের কথা স্বীকার করে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে খুনের পুনর্নির্মাণও করানো হয়েছে।
মৃতের মা অনিতা কেশরী বলেন বন্ধুদের সঙ্গে যা আলোচনা হতো তা ও ওর বাবাকে বলে দিত, সেই জন্যই খুন। তারা এই অভিযোগ তো আমাকে করতে পারত। খুন কেন করে দিল আমার ছেলেকে? মৃতের মামা সঞ্জয় কুমার কেশরি বলেন খবর পেয়ে আমরা এসেছি, তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করছি, দোষীদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছি।
জামুরিয়া এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর মৃদুল চক্রবর্তী বলেন, সকালবেলায় খবর পাই, পুলিস আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। মৃতদেহ তুলে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করছে। এই জায়গাটিতে বেশ কয়েক মাস ধরে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। বহু মত্ত বহিরাগত এখানে আসছে। এই জায়গায় মদ্যপানও করছে। এই ঘটনার পর প্রশাসন নিশ্চয়ই নজর দেবে, আমরাও নজর দেব। জায়গাটিকে দুষ্কৃতীর আখড়া হতে দেব না।