SSC Scam: 'কোন তৃণমূল নেতাকে টাকা দিলেন নাম বলুন', হেড ক্লার্কের চাকরি যেতেই স্কুলগেটে বিক্ষোভ
SSC Scam: হেড ক্লার্কের চাকরি যাওয়া নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চিরশ্রী রায় বসু বলেন, যখন ওই নোটিস পাই তারপরেই বিদ্যালয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে যেন স্কুলে ঢুকতে না দেওয়া হয়। যদিও চাকরি যাওয়া হেড ক্লার্ক মিষ্টি ঘোষ অনেকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে ছুটিতে আছেন
মনোজ মণ্ডল: ভুয়ো প্রার্থী হওয়ায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের এপিসি গার্লস স্কুলের হেড ক্লার্কের। পর্ষদ ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার আগে থেকেই অবশ্য স্কুল আসা বন্ধ করেছিলেন ওই ক্লার্ক। এমন ভুয়ো ক্লার্কের বিরুদ্ধে আজ স্কুল গেটে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কে, এক তৃণমূল নেতার নাম ফাঁস করলেন শান্তনু
আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এপিসি গার্লস স্কুলের হেড ক্লার্ক মিস্টি ঘোষের। তবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে তিনি ছুটিতেই ছিলেন। তার মধ্যেই পর্ষদের ভুয়ো তালিকাভুক্তদের তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে মিস্টি ঘোষের নাম। তার পর থেকে তিনি স্কুলে আসেননি বা স্কুলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও করেননি বলে দাবি করলেন প্রধান শিক্ষিকা।
ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আর স্কুলে গেটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষিকাকে তারা একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। এসএফআইএর নেতা সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, এখন নয়, ২০১৩ সাল থেকে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ভুয়ো চাকরির প্রমাণ আদালতের কাছে পেশ করে আসছে। এখন তা প্রমাণ হচ্ছে। ভুয়ো চাকরি যারা পেয়েছিলেন তাদের চাকরি আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে। এই এপিসি বিদ্যালয় এলাকার গর্বের। এই স্কুলের বহু ছাত্রী বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত। সেই স্কুলকে কালিমালিপ্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
হেড ক্লার্কের চাকরি যাওয়া নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চিরশ্রী রায় বসু বলেন, যখন ওই নোটিস পাই তারপরেই বিদ্যালয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে যেন স্কুলে ঢুকতে না দেওয়া হয়। যদিও চাকরি যাওয়া হেড ক্লার্ক মিষ্টি ঘোষ অনেকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে ছুটিতে আছেন। উনি ২০১৮ সালে কাজে যোগ দেন। এই স্কুলে আসার পরই আমি ওঁকে ক্লার্কের পদে দেখেছি। এসএসসির মাধ্যমে উনি এসেছিলেন। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। শুক্রবারে আমি জেনেছি। তারপর আমাদের স্কুলে মেল এসেছে। মেডিক্যাল সমস্যার জন্য উনি ছুটিতে ছিলেন গতমাসের শেষ থেকে। এর মধ্যেই ওই মেল এসেছে। যারা আজ বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন তারা বলেছিলেন, উনি যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারেন তা দেখবেন। এখন এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আইন আইনের পথেই চলবে। উনি যাতে না আসেন তার নির্দেশ শনিবারই জারি করেছি। উনি আসেননি। কোনও যোগাযোগও উনি করেননি।