Dakshin Dinajpur: অলৌকিক এই রক্ষাকালী পুজোয় ঘটে আশ্চর্য ঘটনা! এতে লাগে টন টন...

Bolla Rakshakali Puja: উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ও সর্ববৃহৎ গ্রাম্য মেলার সূচনা হবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকে। রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে বললা গ্রামে প্রতি বছর এ মেলার আয়োজন হয়। এখানে মায়ের পুজোর ভোগ হিসেবে ব্যবহার হয় চিনির মিষ্টি।

Updated By: Nov 21, 2024, 02:07 PM IST
Dakshin Dinajpur: অলৌকিক এই রক্ষাকালী পুজোয় ঘটে আশ্চর্য ঘটনা! এতে লাগে টন টন...

শ্রীকান্ত ঠাকুর: আর কয়েক ঘণ্টা পরেই উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ও সর্ববৃহৎ গ্রাম্য মেলার সূচনা হবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকে। রক্ষাকালীর পূজা উপলক্ষে বললা গ্রামে প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলার বিশেষত্ব মায়ের পূজার ভোগ হিসেবে ব্যবহার হয় চিনির তৈরি বাতাসা কদমা এবং শুকনো মিষ্টি যা ভক্তবৃন্দ মায়ের উদ্দেশ্যে হরিলুট আকারে মন্দিরের দিকে ছুড়ে দেন। উপস্থিত হাজার হাজার দর্শনার্থী একই ভাবে মায়ের পূজা দিয়ে থাকেন। যার জন্য প্রয়োজন হয় বেশ কয়েক টন চিনির মিষ্টি।

আরও পড়ুন: Victoria Memorial: সাতসকালে এ কী হল ভিক্টোরিয়ায়? কেন দ্রুত খালি করে দেওয়া হল মেমোরিয়াল গ্রাউন্ড? কেন বন্ধ টিকিট কাউন্টার?

যাঁরা দীর্ঘ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মায়ের মন্দিরের কাছে পর্যন্ত যেতে পারেন, তাঁরা যেমন এইরকম ভাবেই পূজা দেন, তেমনই যাঁরা দূরে দাঁড়িয়ে মাকে দর্শন করেন, তাঁরাও ঠিক একইভাবে হরি লুটের মাধ্যমে মাকে ভোগ নিবেদন করেন। ব্যাপক চাহিদা থাকে বলে প্রতি বছরই আগে থেকেই ভোগ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায় বললা গ্রামে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। 

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোগ তৈরির কারিগরেরা বললা গ্রামে পৌঁছেছেন। তাঁরা তাঁবু খাটিয়ে শুরু করেছেন ভোগ তৈরির কাজ। পাঁচটি কারখানা এবার গ্রামে এসেছে যেখানে প্রতিদিন ১০০ কারিগর কাজ করছেন ভোগ তৈরির।

মন্দির কমিটির সূত্র অনুযায়ী, ভোগের জন্য প্রতি বছর কয়েকশো টন মিষ্টির ভোগ বিক্রি হয় এই মেলায়, যা মাটির ভাঁড়ে করে বিক্রেতারা বিক্রি করেন। এবছর দিনকুড়ি আগে থেকেই এই ধরনের পাঁচটি কারখানা কাজ শুরু করেছে বললা গ্রামে। তাঁরা দিনরাত এক করে মিষ্টিভোগ তৈরি করে চলেছেন এবং তা প্যাকেটজাত করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। 

আরও পড়ুন: India Bangladesh Train Services: আপাতত বাংলাদেশ থেকে কোনো রেক ফেরত না আসায় বাতিল ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা! রেক ফিরলেই...

মন্দিরের সামনে বা মেলা চত্বরে থাকা বিভিন্ন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা এই চিনির মিষ্টি বিক্রি করেন। বৃহৎ এই মেলাকে ঘিরে বিকল্প কর্মসংস্থান যেমন সৃষ্টি হচ্ছে তেমনই ব্যবসায়ীদের মুখেও চওড়া হাসি। তার কারণ অন্যান্য বারের তুলনায় এবার প্রথম থেকেই দোকানের সংখ্যা বেশি। পুণ্যার্থী কমবেশি প্রতিদিনই আসছেন। ফলে প্রতি বছরের মতো এ বছরও তাঁদের ব্যবসা সফল হবে এমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সুদূর মালদা রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কারিগরারা এসেছেন ভোগ তৈরির কাজ করতে। দিনরাত এক করে পুজোর মাত্র আর একদিন আগে চলছে ভোগ তৈরির ব্যস্ততা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.