Durgapur Crematorium: দূষিত ধোঁয়ায় টেকা দায়, আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুরের এই শ্মশান
চুল্লি অপারেটরের দাবি যদি এই ধোঁয়া অনবরত চুল্লির ধাতব পাইপ লাইন দিয়ে বের করা হয় তাহলে ফের বিপত্তি বাধতে পারে। তাই চুল্লি ঘরের জানলা দিয়ে মৃতদেহ সৎকারের সময় ধোঁয়া বের করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা খোলা নেই
চিত্তরঞ্জন দাস: আতঙ্কে দুর্গাপুরের বেশ কিছু এলাকা। নগর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বীরভানপুরে রয়েছে একটি মহাশ্মশান। দামোদরের কোল ঘেঁষে থাকা এই শ্মশান এখন দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার বীরভানপুর, জিটি টাউনশিপ,আশীষনগর-সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভানপুরের এই মহাশ্মশানের গুরুত্ব বুঝে বাম পুরবোর্ডের সময় এই শ্মশানে দুটি বৈদুতিক চুল্লি করা হয়েছিল যাতে করে মৃতদেহ সৎকার করতে সুবিধে হয়। তৎকালীন পুর ও নগরন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য্য এই দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করেন। কিন্তু বাম আমলে তৈরী এই দুটি চুল্লি এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের কাছে। অভিযোগ, মাঝে মাঝে রাতের দিকে এই দুই চুল্লির একটি থেকে মৃতদেহ সৎকারের দূষিত ধোঁয়া চুল্লির পাইপ লাইনের ধাতব অংশ নিয়ে না বেরিয়ে চুল্লি ঘরের জানলা বা বিভিন্ন ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে পড়ছে। কালো ধোঁয়াতে ভরে যাচ্ছে শ্মশান চত্বরের পুরো অংশ, সঙ্গে দুর্গন্ধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দরজা জানলা লাগিয়ে ঘরে বসে থাকতে হয়। এমনটাও অভিযোগও উঠছে এর জেরে অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছে।
আরও পড়ুন-জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, আহত আইজি নর্থ দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং
দুর্গাপুর বীরভানপুর মহাশ্মশানের চুল্লি অপারেটর স্বীকারও করে নিয়েছেন এই অভিযোগের সত্যতা। এ ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খোলা নেই বলে ঐ চুল্লি অপারেটরের সাফাই। দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানের দুটি বৈদুতিক চুল্লির মধ্যে এখন একটি চলছে, বাকি একটি বিকল হয়ে পড়েছে। শুধু দুর্গাপুর নয় বাঁকুড়া সহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা থেকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য সাধারণ মানুষ দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে আসেন। স্বাভাবিকভাবে এই শ্মশানের উপরে চাপ বাড়ে প্রতিনিয়ত। চুল্লি অপারেটরের দাবি যদি এই ধোঁয়া অনবরত চুল্লির ধাতব পাইপ লাইন দিয়ে বের করা হয় তাহলে ফের বিপত্তি বাধতে পারে। তাই চুল্লি ঘরের জানলা দিয়ে মৃতদেহ সৎকারের সময় ধোঁয়া বের করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা খোলা নেই। আর এর জন্য দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানের আশপাশ এলাকাগুলি ভয়ঙ্কর দূষণের শিকার হচ্ছে। মৃতদেহ সৎকারের দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে গিয়েছে।
কয়েক মাস আগে টেন্ডার মারফত তৃণমূল পুর বোর্ড শ্মশানের দুটি বৈদুতিক চুল্লির মেরামতির কাজ করিয়েছিলেন। যদি চুল্লি মেরামতি করা হয় তাহলে কেন সেই কাজ ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে না প্রশ্ন বিরোধীদের, তাহলে কি নজরদারির অভাব? এই প্রশ্নের উত্তর চাইছে বিরোধীরা। বিজেপি জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, দুর্গপুর নগর নিগম গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিকে দেখেনি। আর এতে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সমালোচনার ঝড় বামেদের গলাতেও। সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, বাম আমলে সব জিনিস শেষ করে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার।
মানুষের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের সদস্য রাখী তেওয়ারী জানান, খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টি নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নেবে দুর্গাপুর নগর নিগমের বর্তমান প্রশাসক ।