বন্ধ ঘরে ২ দিন ধরে দিদির দেহ আগলে বসে রইল ৩ বোন!
পার্ক স্ট্রিটের রবিনসন কাণ্ডের ছায়া এবার বাঁকুড়ায়। দুদিন ধরে মৃত দিদির দেহ ঘরের মধ্যে আগলে বসে রইলেন বোনেরা। শেষমেশ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাঁচিল টপকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পার্ক স্ট্রিটের রবিনসন কাণ্ডের ছায়া এবার বাঁকুড়ায়। দুদিন ধরে মৃত দিদির দেহ ঘরের মধ্যে আগলে বসে রইলেন বোনেরা। শেষমেশ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাঁচিল টপকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিস।
বাঁকুড়ার প্রতাপবাগানের বাড়িতে তিন বোনকে নিয়ে থাকতেন অর্চনা পাল। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে অর্চনা পালের দেহ নিয়ে আসার পরই তাঁরা বাকি বোনদের মধ্যে একটা অদ্ভুত আচরণ লক্ষ্য করেন। তাঁরা দেখেন, ঘরের সব দরজা জানলা বন্ধ করে রেখেছেন বাড়ির সদস্যরা। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে প্রতিবেশীদের মনে।
আরও পড়ুন, লালগড়ে রয়্যাল বেঙ্গল, সবচেয়ে দীর্ঘ পথ পেরল বাঘ
এরপরই পুলিসে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিস এসে বার বার ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও বাড়ির কেউই দরজা খোলেন না বলে অভিযোগ। এরপরই পাঁচিল টপকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় বাকি তিন বোনকেও। চিকিত্সার জন্য তাঁদেরকে বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজে পাঠানো হয়েছে।
কেমন ছিলেন ওই চার বোন? প্রতিবেশীরা বলছেন, সকলেই পড়াশুনায় ভালো ছিলেন। দুই বোন বাঁকুড়া শহরে সরকারি চাকরি করেন। এক বোন থাকেন দুর্গাপুরে। মাঝেমধ্যে প্রতাপনগরের বাড়িতে আসতেন তিনি। তবে নিজেদের মধ্যে অশান্তি করলেও, বাইরের কারোর সঙ্গে পাল বোনদের কোনও ঝামেলা ছিল না বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন, জাল ফেলতেই উদ্ধার ৭ ফিট লম্বা কুমির!
যদিও তাঁদের দাবি, বাড়ির কেউই মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। এমনকি এর আগেও এক বোনের মৃতদেহ তাঁরা এভাবেই আগলে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।