Dengue In siliguri: শিলিগুড়িতে মেয়রের বাড়ির পাশেই মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির
অশোক ভট্টাচার্য আজ বিশ্বজিতের বাড়িতে যান। পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। শহরের বর্তমান মহানগরিক খেলা, মেলা, ফিতেকাটা এইসব নিয়ে ব্যাস্ত
নারায়ণ সিংহ রায়: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে পঞ্চাশ হাজার। রাজ্যের মধ্যে কলকাতার পরিস্থিতি সবচেয়ে ঘোরাল। এর মধ্যেই শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ার মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত এক ব্যক্তির। মেয়র গৌতম দেবের প্রতিবেশী ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজিত্ সরকার(৪৫)। পরিবার সূত্রে খবর, গত তিন দিন ধরে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার তাঁর রক্ত পরীক্ষা হয়। সোমবার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হল বিশ্বজিতের। ওই রিপোর্টে ডেঙ্গি পজিটিভ এসেছে। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
আরও পড়ুন-ধর্মতলা থেকে অবস্থান প্রত্যাহার প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের!
শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য আজ বিশ্বজিতের বাড়িতে যান। পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। শহরের বর্তমান মহানগরিক খেলা, মেলা, ফিতেকাটা এইসব নিয়ে ব্যাস্ত। শহরবাসী ক্রমাগত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। সেদিকে বর্তমান পুরোবোর্ড ও মেয়রের কোন হেলদোল নেই। শহরবাসীকে ন্যূনতম পরিষেবা দিতে ব্যর্থ এই পুরো বোর্ড। আমার সময়েও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছিল, সেই সময় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দিনরাত একসঙ্গে কাজ করে আমরা ডেঙ্গিকে পরাস্ত করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে পুরো বোর্ড উৎসব পালনে ব্যস্ত।
অপরদিকে শহরের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার জানান, পুরসভা ডেঙ্গি বিষয় নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। নিয়মিত শহরের জঞ্জাল অপসারণ ও নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। আমরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পেয়েছি। তারপর থেকে আমাদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ডেঙ্গি. এনিয়ে আমরা ভীষণ ভাবে তৎপর ছিলাম। এবছর খুব বেশি বৃষ্টি হওয়ার দরুন শহরে ডেঙ্গির মাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তা নিয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছি। তাদের নির্দেশ মতই কর্পোরেশন ডেঙ্গির সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের সমস্ত ওয়ার্ডে ব্লিচিং পাউডার ছেটানো থেকে শুরু করে মশা মারার তেল স্প্রে করা এবং পাড়ায় পাড়ায় ডেঙ্গি থেকে কিভাবে রক্ষা পাবেন সেইসব সচেতনতা নিয়ে মাইকিং করা, সবই করে চলেছি । এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।