Siliguri Couple Mysterious Death: ঘরে জ্বলছে কাঠকয়লা! মেঝেতে নিথর স্ত্রী, বিছানায় স্বামীর দেহ, দম্পতির রহস্যমৃত্যু
ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। কিন্তু কেন আত্মঘাতী, কীভাবে আত্মঘাতী হয়েছে দম্পতি? তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। মা জানান, 'দুজনের মধ্যে খুব মিল ছিল।'
নারায়ণ সিংহ রায়: জোড়া মৃতদেহের পাশে উদ্ধার সুইসাইড নোট। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা। শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিনবন্ধু মিত্র সরণিতে এক বাড়ি থেকে উদ্ধার দম্পতির দেহ। জোড়া দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে বিয়ে হয় উজ্জ্বল কুমার সিনহা ও দেবলীনা সরকারের। উজ্জ্বল কুমার আদতে পাটনার বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও অনলাইন ট্রেডিং বা শেয়ার মার্কেটের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে দেবলীনা শিলিগুড়ির বাসিন্দা। পেশায় গৃহশিক্ষক। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন উজ্জ্বল। বুধবার সকালে পরিবারের লোকেরা দম্পতির কোনও প্রকার সাড়াশব্দ না পাওয়ায়, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। তাঁরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে নিথর অবস্থায় পড়ে দেবলীনার দেহ। অন্যদিকে বিছানায় পড়ে রয়েছে উজ্জ্বলের দেহ।
কিন্তু কী করে, কী কারণে মৃত্যু হল দম্পতির, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘরের মধ্যে বেশ খানিকটা পরিমাণ জ্বলন্ত কাঠ কয়লা পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিস। আসে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলও। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘরের মেঝেতে কাঠকয়লা পাওয়ায় পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসকষ্টজনিত কারণেই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে দুজনের। পুলিস সূত্রে খবর, ঘরের বিভিন্ন ভেন্টিলেটর আটকানো। কাজেই কাঠকয়লার ধোঁয়ায় আবদ্ধ ঘরে হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে দুজনের।
কিন্তু এখানেই দানা বেঁধেছে সন্দেহ। যার পিছনে রয়েছে ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট। এলাকার কাউন্সিলর সঞ্জয় শর্মা জানান, 'দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনই কিছু বলতে পারছি না, কী করে কী হল! সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তা পুলিসের কাছে আছে৷' পুলিস সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে একাধিক মানুষের কাছ থেকে ঋণে কথার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কীভাবে দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। ওদিকে মহিলার মাথার পিছনে আবার রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। যা নিয়েও ধন্দে পুলিস।
এলাকাবাসী সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই ব্যাংকের থেকে লোক আসত। উজ্জ্বল কুমারের সন্ধান করতেন তাঁরা। ওদিকে মৃত দেবলীনা সরকারের মা শিপ্রা সরকার জানান, 'সকাল থেকে ডাকাডাকি করেও কোনও উত্তর মেলেনি। আমাকে যে দেখাশোনা করে, তাকে পাঠিয়েছিলাম। সে এসে এমন খবর দেয়। কেন এমন হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। দুজনের মধ্যে খুব মিল ছিল।'
আরও পড়ুন, ৪ রাজ্যে ৬ বউ! কলকাতায় পালানোর পথে 'বৈবাহিক কীর্তি' ফাঁস বিহারের যুবকের