'লড়ব না ভোটে', অনড় শীলভদ্র, পিকের টিমকে পাল্টা প্রশ্নে বিঁধলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক

"পিকের টিমের কাজকর্ম আমার পছন্দ হয়নি।"

Updated By: Dec 1, 2020, 03:52 PM IST
'লড়ব না ভোটে', অনড় শীলভদ্র, পিকের টিমকে পাল্টা প্রশ্নে বিঁধলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের অবস্থানে অনড় তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না তিনি। এদিন টিম পিকের সদস্যদেরও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সেকথা। আজ সকালে টিম পিকের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করতে যান বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে। তাঁরা শীলভদ্র দত্তকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শীলভদ্র দত্ত নিজের অবস্থানেই অনড়। সোজাসুজি জানিয়ে দিলেন, একুশের বিধানসভা ভোটে তিনি লড়তে চান না। একইসঙ্গে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, দলীয় নেতৃত্ব না এসে পিকের টিম কেন? সবমিলিয়ে শীলভদ্র ইস্যুতে অস্বস্তি কিছু কমল না তৃণমূল শিবিরের। 

শীলভদ্র দত্ত এদিন বলেন, "আমার কাছে জানতে এসেছিল কী ব্য়াপার? আমি যেটা পাবলিকলি বলেছি, সেটাই বললাম। তার থেকে তো পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা নেই। আর সেরকম কোনও কারণও ঘটেনি।" পাশাপাশি আজও ফের স্পষ্ট কথায় পিকের টিমের বিরুদ্ধে তাঁর অসন্তোষ জানান তিনি। সাফ বলেন, "পিকের টিমের কাজকর্ম আমার পছন্দ হয়নি।" আরও বলেন, "পলিটিক্যাল লিডাররা এলে অনেক ভালো হত। পলিটিক্যাল কর্মীরা এলে অনেক ভালো হত। তবে এটা তাঁদের ব্যাপার। দল দায়িত্ব দিয়েছে, তাই তাঁরা এসেছে।" একইসঙ্গে এদিন শীলভদ্র দত্ত ব্যারাকপুরের মানুষের সাথে থাকার প্রশ্নে বলেন, "তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালেই সাথে আছে আর না দাঁড়িয়ে অন্য়... সাধারণভাবে কাজ করলে সাথে নেই, এরকম তো নয়। আমিও ব্যারাকপুরের মানুষের সাথে থাকব, যতদিন বাঁচব।" 

প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শুরুতেই ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত আগামী নির্বাচনে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, "২০২১-এ বারাকপুরে নতুন প্রার্থী আসবে। কাজ করবে। দশ বছর আমি আপনাদের সাথে থেকেছি। যা করতে পারিনি, তা আমার অপদার্থতা বলেই মনে করি।" তার কিছুদিন আগেই আবার ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, "ভালো নেই"। যা কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এরপরই একেবারে স্পষ্ট ঘোষণা করেন ব্য়ারাকপুরের বিধায়ক। তারপর নভেম্বরের শুরুতেই দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে ফের তোপ দাগেন তিনি। বলেন,"একটা বাজারি কোম্পানি টাকা নিয়ে ভোট করাতে আসছে। তারা আমাকে বলছে, আপনাকে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না। ভোট আমরা করাব। আমাকে রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে। ৯-১০ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। এই পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে পারছি না। রাজনীতিতে সম্মান অনেক বড়। আমিও অনেকের মতই সিঁড়ি ভেঙে এখানে এসেছি।"

আরও পড়ুন, বহিরাগত নয়, এলাকার মানুষকেই বিধানসভায় প্রার্থী চাই! পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য বালিতে

.