করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে সরানো হলো শেওড়াফুলির পাইকারি বাজার

লকডাউন আবহে শেওড়াফুলি বাজারে কোনওভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু শেওড়াফুলি পাইকারি বাজার নয়, হুগলির জেলার সব বড় বাজারকে ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। 

Updated By: Apr 24, 2020, 10:57 AM IST
করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে সরানো হলো শেওড়াফুলির পাইকারি বাজার
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় ‘বড়বাজার’ বলে পরিচিত শেওড়াফুলির পাইকারি বাজার। করোনা আতঙ্কে সরানো হলো হুগলি জেলার সব থেকে বড় বাজারটিকে। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও শেওড়াফুলি স্টেশন লাগোয়া এই বাজারটিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে জেলার সব পুরসভা এবং কয়েকটি পঞ্চায়েতকে সংক্রমিত এলাকা বলে ঘোষণা করে হুগলির প্রশাসন।

শেওড়াফুলি বাজারে মূলত পাইকারি বেচা-কেনা হয়ে থাকে। তবে, খুচরো ক্রেতার ভিড়ও দেখা যায়। কিন্তু লকডাউন আবহে কোনওভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর, পোলবায় সুগন্ধায় গোটু পাইকারি বাজারে এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ মিলেছে বলে খবর মেলে। এরপরই প্রশাসন আরও নড়েচড়ে বসে।

 

শুধুই শেওড়াফুলি পাইকারি বাজার নয়, হুগলির জেলার সব বড় বাজারকে ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। অন্য দিকে শ্রীরামপুর পুরসভার সব বাজারকেই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, শেওড়াফুলি সুপার মার্কেট কৃষক বাজারে স্থানান্তরিত করার হচ্ছে স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি বাজারটিকে।

 

আরও পড়ুন- ঝাড়গ্রামে পুলিস লাইনের ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি কনস্টেবলের

শুক্রবার সকাল থেকে শেওড়াফুলি বাজারের বিক্রেতাদের কৃষক বাজারে ফাঁকা জায়গা বসানো হচ্ছে। শ্রীরামপুর থানার পুলিস দাঁড়িয়ে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নজরদারিত্ব চালাচ্ছে। জেলার ৭৮টি বাজারকে এভাবে সরানো হচ্ছে বলে জানান জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।  

.