Shantiniketan: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় এবার কবিগুরুর শান্তিনিকেতন
শতবর্ষ অতিক্রান্ত। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল এবং ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী।
প্রসেনজিৎ মালাকার: বাংলার মুকুটে নয়া পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় এবার কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। ট্যুইট করে ঘোষণা করল ইউনেস্কো।
আরও পড়ুন: Dengue Death: 'ডেঙ্গি হলে শুধুমাত্র প্য়ারাসিটামল খান', নবান্নে বৈঠক স্বরাষ্ট্রসচিবের
শতবর্ষ অতিক্রান্ত। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল এবং ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী। এদিন রিয়াধ কনফারেন্সে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো।
প্রক্রিয়া অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে থেকেই। ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকায় যে নাম উঠতে পারে শান্তিনিকেতনের, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। চলতি বছর রবীন্দ্র জয়ন্তীর পর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে সারা দেশের জন্য সুখবর। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে'। এরপর বিশ্বভারতীতে আসে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল। সবকিছু ঘুরে দেখার পর রিপোর্টও দেন।
শান্তিনিকেতনটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করার দাবিপত্র তৈরি করেন আভা লম্বা ও মণীশ চক্রবর্তী। সেই দাবিপত্রটিই ইউনেস্কোতে জমা দেয় ASI। মনীশ চক্রবর্তী জানান, 'রবীন্দ্রনাথের যে মূল জায়গাটা, আশ্রম, সঙ্গীত ভবন ও কলাভবন আর উত্তরায়ণ, প্রায় ২৫টা মতো বাড়ি, ওখানে আর কিছু করা যাবে না। জায়গাটা শুধু রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে'।
এদিকে সম্প্রতি বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী। শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার, তৃণমূলের তরফে ট্যুইট করা হয়, ‘বাংলার জন্য গর্বিত মুহূর্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল। সংস্কৃতি এবং মেধায় নোবেলজয়ীয় যে অবদান রয়েছে, তাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল। চলুন, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করি'।
Proud moment for Bengal!
Santiniketan, the cherished home of Kobiguru Rabindranath Tagore, has earned its place in @UNESCO's World Heritage List.
It proudly stands as a testament to the profound cultural and intellectual contributions of the Nobel Laureate.
Let us continue…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 17, 2023
এর আগে, ২০২১ সালে ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পায় বাঙালির দুর্গাপুজো। সঙ্গে দার্জিলিংয়ের ট্রেন ও সুন্দরবন। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং টয়ট্রেনের সঙ্গে নীলগিরি পাহাড় ও শিমলার রেলগাড়িও গৌরবের শরিক।
আরও পড়ুন: Train Cancel: বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, ভোগান্তি যাত্রীদের