দুষ্কৃতীর থেকে বন্দুক ভাড়া নিয়ে স্কুলে, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই আত্মঘাতী স্কুলপড়ুয়া
কলিমের ইচ্ছা ছিল, স্কুলপড়ুয়া ওই মেয়েটির সামনেই নিজেকে গুলি করবে কলিম। শেষপর্যন্ত শৌচালয়ের ভিতর নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয় কলিম।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কেতুগ্রামের স্কুলের শৌচাগারে ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত কলিম শেখের মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে পুলিশ জানাল প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোর।
আরও পড়ুন, বাইশের কনের ৩২-এর পাত্র! পছন্দ হয়নি মেয়ের, মর্মান্তিক পরিণতি দম্পতির
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, কলিম শেখ স্থানীয় এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর কাছ থেকে ৭এমএম পিস্তল ১০০০ টাকায় ভাড়া নেয়। তারপর ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে সেই পিস্তল নিয়ে স্কুলে ঢোকে। কলিমের স্কুলের ব্যাগ ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা খাতার ভিতরে একটি চিঠি পায় পুলিস। সেই চিঠি থেকেই পুলিস জানতে পেরেছে, স্কুলের কোনও মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিল কলিম। কিন্তু মেয়েটি তার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন, পুজোর জামা কিনতে টাকা চুরি, ধরা পড়ে অপমানে আত্মঘাতী কিশোর
তারপরই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে বন্দুক ভাড়া করে আনে কলিম। ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে বন্দুক নিয়ে স্কুলে আসে। কলিমের ইচ্ছা ছিল, স্কুলপড়ুয়া ওই মেয়েটির সামনেই নিজেকে গুলি করবে কলিম। শেষপর্যন্ত শৌচালয়ের ভিতর নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয় কলিম। ওই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে পুলিস। তবে এখনও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন, নৃশংসতার নজির! প্রৌঢ়ের দু-হাতের ১০ আঙুল কেটে নিল মোড়লরা
পুলিশ জানিয়েছে, পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে নিজেকে গুলি করেছিল কলিম। গুলি লাগে মাথার ডানদিকে। বাজেয়াপ্ত করা পিস্তল, কলিমের মোবাইল ও হাতের ছাপ ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। খুনের দাবি খারিজ করে পুলিস জানিয়েছে, শৌচালয়ের স্বল্প জায়গায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিত থাকা অসম্ভব। প্রত্যক্ষদর্শী প্রধানশিক্ষকও জানিয়েছেন, শৌচালয়ের ভিতর থেকেও কেউ বেরিয়ে আসেনি।