Scholarship Scams: জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড কে? Zee ২৪ ঘণ্টার হাতে বিস্ফোরক তথ্য
উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির স্কলারশিপ জালিয়াতি কাণ্ডে পরতে পরতে রহস্য।
ভবানন্দ সিংহ: দু'দিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে সরকারি স্কলারশিপের জালিয়াতি (Scholarship Scams) প্রকাশ্যে এনেছিল Zee ২৪ ঘণ্টা। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কীভাবে গ্রাহকের অজান্তেই সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধী স্কলারশিপের টাকা তুলে নিচ্ছে জালিয়াতরা, তার পর্দা ফাঁস হয়েছিল। কিন্তু এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির পিছনে আসল মাস্টারমাইন্ড কারা? এবার সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনল Zee ২৪ ঘণ্টা'ই।
স্কলারশিপ জালিয়াতি কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন করনদিঘির বাসিন্দা মীর সেলিম (Mir Selim)। তিনি জানান, এই স্কলারশিপ জালিয়াতির (Scholarship Scams) মূল পাণ্ডা মাহাতাবউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। জালিয়াতির জন্য একটা সম্পূর্ণ গ্যাং অপারেট করেন তিনি। পরিকল্পনা করেই পুরো প্রতারণা চক্রটি কাজ করে। অভিযোগকারী মীর সেলিম জানান, এই জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস করার জন্য একটি RTI করেন তিনি। সেই রিপোর্ট থেকেই প্রথম প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। তাঁর আরও অভিযোগ, জালিয়াতি চক্রের পাণ্ডাদের নাম, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য এবং জালিয়াতির প্রমান তিনি তুলে দিয়েছিলেন জেলা শাসক, জেলা সংখ্যালঘু দফতর,জেলার পুলিশ সুপারের হাতে। তবে কোনও সুরাহা হয়নি। বরং তাঁর নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Suvendu Security Death: 'কর্মরত অবস্থায় কীভাবে লাগল গুলি', FIR-এ প্রশ্ন মৃতের স্ত্রীর
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, মাহাতাবউদ্দিন তাঁর আত্মীয়। এক সময়ে মাহাতাবউদ্দিনের বাড়িতেই তিনি থাকতেন। তাঁকেও প্রতারণা চক্রে সামিল হতে বলেন অভিযুক্ত। মাহাতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ করেছিলেন মীর সেলিম? তাঁর অভিযোগ প্রথমত, একই ব্যাঙ্কে মাহাতাবউদ্দিনের নামে ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার তথ্য তিনি প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে পেশ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিজেকে প্রতিবন্ধী হিসাবে এবং কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিজেকে সংখ্যালঘু হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করে টাকা লোপাট করেছে মাহাতাবউদ্দিন। এমনকি পরিবারের সকলকে পড়ুয়া দেখিয়ে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রেজিষ্ট্রেশন করে স্কলারশিপের (Scholarship Scams) টাকা তুলেছে অভিযুক্ত।
কে কে রয়েছে মাহাতাবউদ্দিনের এই প্রতারণা গ্যাংয়ে? মীর সেলিমের অভিযোগ গ্যাংয়ে রয়েছে মাহাতাবউদ্দিনের ভাই হায়াত আলি, সারজাহান আলি। এছাড়া বাপন বসাক, অশোক বসাক, রঞ্জিত সিনহা, অশোক বসাক, শেরাফত আলির নামেও কয়েকজনের যুক্ত রয়েছেন। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে স্কলারশিপের টাকা তুলছে।
আরও পড়ুন: Fake CBI Lawyer: চাঞ্চল্যকর তথ্য! মানুষের অধিকার রক্ষা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলত সনাতন প্রতারক
জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ বছর আগেও কৃষি শ্রমিক ছিলেন মাহাতাবউদ্দিন। তবে কয়েক বছরে তিনি ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। তিনতলা বাড়ি ও গাড়ি হয়েছে। বাড়িতে রয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড ঘর। এলাকায় একাধিক জমি কিনেছেন। কমবেশি একই পরিমাণে সম্পত্তি বেড়েছে বাকিদেরও। অভিযোগকারী মীর সেলিমের প্রশ্ন, এত প্রমান, এত তথ্য, অভিযোগ সব পেয়েও কেন কিছু করছে না প্রশাসন? কেন মাহাতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না? কেন আসল সত্য প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না?