দু-বছর ধরে ভাঙা সেতু দিয়েই যাতায়াত, একের পর এক দুর্ঘটনার পর সরব ১০ হাজার গ্রামবাসী
২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। ইটবোঝাই লরির ভার সইতে না পেরে ফাঁসিদেওয়া- চটহাটের সংযোগকারী পিচলা নদীর ওপর থাকা মানগছ সেতু ভেঙে পড়ে। সমস্যায় পড়েন নিকরগছ, জাকিরগছ, গোয়ালগছ, মানগছ, নীচবাজার সহ একাধিক গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দু বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল সেতু। যাতায়াতে চরম দুভোর্গের শিকার হাজার দশেক গ্রামবাসী। সেতু ভাঙার পর মিলেছিল সরকারি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। এবারের বর্ষাতেও চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা।
২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। ইটবোঝাই লরির ভার সইতে না পেরে ফাঁসিদেওয়া- চটহাটের সংযোগকারী পিচলা নদীর ওপর থাকা মানগছ সেতু ভেঙে পড়ে। সমস্যায় পড়েন নিকরগছ, জাকিরগছ, গোয়ালগছ, মানগছ, নীচবাজার সহ একাধিক গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: বিস্কুট দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন, হাসপাতালে ৪ বছরের শিশু
২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয় ফাঁসিদেওয়া, চটহাট, শিলিগুড়িতে। ভাঙা সেতুর পাশ দিয়ে গ্রামবাসীরা কাজ চালানোর মতো বাঁশের সাঁকো নিজেরাই বানিয়ে নেন। কিন্তু টেকেনি। গত দুবছরে তিনবার জলের তোড়ে সাঁকো ভেসে গিয়েছে। ফলে ওই ভাঙা সেতুই হাজার দশেক মানুষের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। ঘটছে দুর্ঘটনাও।
কংক্রিটের সেতু ভেঙে পড়ার পর নেতা, মন্ত্রী আমলাদের অনেকেই ভাঙা সেতু দেখে যান। মিলেছিল গাল ভরা প্রতিশ্রুতি। চলতি বছর মার্চ মাসে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব নতুন সেতু তৈরির জন্য শিলান্যাস করেন। তারপর আরও ৬ মাস কেটে গিয়েছে।
দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবিতে সরব হয়েছেন পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসন বলছে, ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির টাকায় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তত্ত্বাবধানে সেতু তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষার জন্য কাজ শুরু হয়নি। বর্ষার পরই দ্রুত সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে।