Teesta Water: সিকিম ও পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি, তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় জারি রেড অ্যালার্ট
মঙ্গলবার সকালে জলস্তর আনেকটাই বেড়েছে জলপাইগুড়ি শহরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীতেও।
প্রদ্যুত্ দাস: পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে তিস্তায়। পাশাাপাশি ফুঁসছে করলা ও জলঢাকা নদী। পরিস্থিতি দেখে মঙ্গলবার তিস্তায় ফের লাল সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর।
সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে। অনবরত বৃষ্টির ফলে রাতের দিকে তিস্তার জল অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সঙ্কেত জারি করেছে সেচ দপ্তর। একইসঙ্গে তিস্তা নদীর সংরক্ষিত এলাকায় দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা পর্যন্ত হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভূটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে জলঢাকা নদীতেও। নদীর অসংরক্ষিত ও সংরক্ষিত উভয় এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছে জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর। মঙ্গলবার সকালে জলস্তর আনেকটাই বেড়েছে জলপাইগুড়ি শহরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীতেও। এর ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো মানুষ। করলা নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহরের ১ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা।
অন্যদিকে, পাহাড়ে টানা বৃষ্টির ফলে নদীগুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে গজলডোবা এলাকায়। পাশাপাশি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বেহাল রাস্তা। জল ঢুকেছে অনেকেরই বাড়িতে। ফলে নানা সমস্যার মুখে স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার গজলডোবায় পথ অবরোধ করে বসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, নিকাশি নালার না থাকার কারণেই এলাকায় জল জমছে। ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মালবাজার থানার পুলিস। অবশেষে পুলিসের আশ্বাসে পথ অবরোধ উঠে যায়।
আরও পড়ুন-সাতসকালে দমদমে চলল গুলি, বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন দমকলকর্মী