SSC: বদলে যেতে পারে ব়্যাঙ্ক! প্রশ্নের মুখে শিলিগুড়ির ববিতা সরকারের চাকরি..

গত জুলাই মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা।  মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক  হিসেবে কর্মরত তিনি। মেধাতালিকায় ববিতার পরেই নাম অনামিকা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থীর। চাকরি না পেলে এবার আদালতের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।  

Updated By: Dec 30, 2022, 07:24 PM IST
SSC: বদলে যেতে পারে ব়্যাঙ্ক! প্রশ্নের মুখে শিলিগুড়ির ববিতা সরকারের চাকরি..

নারায়ণ সিংহ রায়: ব্যবধান মাস পাঁচেকের। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পাওয়ার পর, ফের আলোচনার কেন্দ্রে শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। কেন? তাঁর এডুকেশনাল স্কোর গণনায় নাকি ভুল করেছে কমিশন! মেধাতালিকায় ব়্যাঙ্ক বদলে যেতে পারে। মেধাতালিকায় ববিতার পরেই নাম অনামিকা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থীর। চাকরি না পেলে এবার আদালতের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।  

ঘটনা ঠিক কী? ২০১৬ সালে যখন SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল SSC, তখন পরীক্ষায় বসেছিলেন ববিতা। এমনকী, ওয়েস্টিং লিস্টে প্রথম ২০-তেই  নাম ছিল তাঁর। এরপর দ্বিতীয়বার ফের তালিকা (Waiting List) প্রকাশ করে SSC। সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিল প্রাক্তন পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নাম। বস্তুত, মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে ববিতা চলে গিয়েছিলেন ওয়েটিং ২১ নম্বরে। শেষে যখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি, তখন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতার বদলে চাকরি করছেন ববিতা। তাহলে? কমিশন সূত্রে খবর, এসএসসিতে মাধ্য়মিক, উচ্চমাধ্যমিক-সহ সব রেজাল্টের ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বা এডুকেশনাল স্কোর দেওয়া হয়। ববিতার সেই এডুকেশাল স্কোরেও গরমিল ধরা পড়েছে। 

আরও পড়ুন: Joka Taratola Metro: চালকের কেবিনে স্বয়ং রেলমন্ত্রী! জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত গড়াল মেট্রোর চাকা

ববিতার এডুকেশনাল স্কোর ৩১, কিন্তু কমিশন দিয়েছে ৩৩! কীভাবে নম্বর বেড়ে গেল? ববিতা কমিশনকে জানিয়েছিলেন, ৬০ শতাংশ নম্বর। কিন্তু মার্কশিটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৫ শতাংশ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছেন ববিতা। তিনি বলেন, 'এতদিন বুঝতে পারেনি যে, কমিশন ভুল করে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে।  আমি তো নম্বরই জানতাম না। নবম-দশম শ্রেণি দেখলে নম্বর ঠিক আছে। কিন্তু সবাই বলার পর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিরটা মিলিয়ে দেখলাম, ২ নম্বর বোধহয় বেশ হচ্ছে'। জানান, 'আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কারণ ২ নম্বর কম হলে আমার রাঙ্কিংটা পিছিয়ে যায়।  লড়াইটা তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। চাকরি চাইনি একবারও'।

আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: রাজ্য জুড়ে শীতের আরও একটা স্পেল, উত্তুরে হাওয়ায় বাড়ছে ঠান্ডা

 মেধাতালিকায় ববিতার পরেই যাঁর নাম রয়েছে, সেই অনামিকা রায়ের বক্তব্য, 'যেহেতু ২ নম্বর কমে গিয়েছে, তাহলে ব়্যাঙ্ক পিছিয়ে যাবে। ৭৭ থেকে ২ বাদ দিলে ৭৫ হচ্ছে। ওয়েটিং লিস্টের ১৪ জনের পিছনের চলে যাবে ববিতা। সেক্ষেত্রে তো চাকরিটা কোনওভাবেই প্রাপ্য তাঁর নয়। পরবর্তী চাকরির দাবিদার আমি। আমি চাইছি, এবার আমাকে চাকরিটা দেওয়া হোক'।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.